সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল এক যুবককে খুঁজে বের করেছেন লাক্স সুপারস্টার মডেল ও অভিনেত্রী ফারিয়া শাহরিন। গত কয়েকদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ব্যস্ত রাস্তায় দাঁড়িয়ে চলন্ত বাসযাত্রীদের কাছে দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে পানি ও জুস বিক্রি করছেন এক যুবক। একপর্যায়ে একটি চলন্ত বাসের যাত্রীকে দৌড়ে লাফিয়ে জানালা দিয়ে পানির বোতল পৌছে দেন তিনি। এসময় তার মুখে ছিল রাজ্যের হাসি! একই বাস থাকা একজন যাত্রী সেই মুহূর্তটি ভিডিও করেন। ভিডিওটি অল্প সময়েই ছড়িয়ে যায়। বিভিন্ন পেজ থেকে শেয়ার হয়। জীবিকার প্রয়োজনে একজন তরুণের এমন মুহূর্ত প্রশংসা কুড়ায় সকলের।
জানা গেছে, সেই যুবকের নাম মাসুদ। এসএসসি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছেন তিনি। চাকরির সন্ধানে ঢাকায় থেকে বর্তমানে অভাবের কারণে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে পানি ও জুস বিক্রি করছেন। বিডি২৪লাইভকে বিষয়টি জানিয়েছেন অভিনেত্রী ফারিয়া শাহরিন। এর আগে বুধবার (১৩ এপ্রিল) এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে সেই যুবকের জন্য চাকরি চান ফারিয়া।
সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘ফাইনালি এই ভিডিওতে যে ভাইটাকে আপনারা দেখছেন তাকে আমি খুঁজে পেয়েছি। আপনারা যদি কেউ এই ভাইকে আর্থিকভাবে সাহায্য করতে চান। তার বিকাশ নাম্বার ০১৭২৫৯১৫৫১৬। এটা উনি কিনা তার হোয়াটঅ্যাপে কল করে নিশ্চিত হয়েছি। ভাইটার জন্য চাকরি খুঁজছি, দেখি পারি কিনা!
এসময় ফারিয়া আরও জানান, ‘মাসুদ এসএসসি পর্যন্ত পড়েছেন। কেউ যদি উনাকে চাকরি দিতে পারেন দয়া করে উনার এই নম্বরে (০১৮৭৬৪৮০৩১৩) কল করবেন। উনার নাম মাসুদ। উনার একটা চাকরি খুব প্রয়োজন। আমি চেষ্টা করছি। আপনারা যদি আমার আগেই তাকে একটা চাকরি নিয়ে দিতে পারেন তাহলে খুব ভালো হয়। ভাইটার জন্য আমি আমার জায়গা থেকে চেষ্টা করছি। আমি জানি আপনারাও করবেন ইনশাআল্লাহ।’
এ বিষয়ে বিডি২৪লাইভকে ফারিয়া জানান, কয়েকদিন আগে ফেসবুকে এই যুবকের ভিডিওটি চোখে পড়ছিল। সেটা দেখে আমি শেয়ার করছিলাম, কেউ যাতে তাকে খুঁজে দেয়। এরপরে সেই ছেলেটারই কোনো এক কাজিন ভিডিওটি শেয়ার করে জানায়, সংসারের অভাবের কারণেই পানি, জুস বিক্রি করছেন মাসুদ।
পরে সেখানে অনেকে আমাকে মেনশন করলে আমি সেই কাজিনের সাথে যোগাযোগ করি। প্রথমে একটু সন্দেহ লাগছিল। নিশ্চিত হওয়ার জন্য আমি মাসুদের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলতে চাই। পরে সে হোয়াটসঅ্যাপ খুলে আমাকে ভিডিও কল দেয়। আমি শুটিংয়ে থাকাকালীন তার সঙ্গে কথা বলি। মাসুদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি, সে খুব কষ্টে আছে। অভাবের কারণেই পানি, জুস বিক্রি করছেন। তার একটা চাকরির প্রয়োজন। তার জন্য চাকরির খুঁজে দেওয়ার চেষ্টা করবো জানিয়ে তার কাছে বিকাশ নাম্বার চাইলাম। কিন্তু সে টাকা নিতে রাজি নয়। বরং একটা জব দিতে পারলে তার উপকার হয় বলে জানায়। পরে তার জন্য কিছু ঈদ সালামির ব্যবস্থা করে পাঠাই।
ফেসবুকে দেওয়া পোস্ট সম্পর্কে ফারিয়া বলেন, প্রথমে আমি ভাবছিলাম পোস্টটা শেয়ার করবো না। পরে ভাবলাম আমার চাকরি খুঁজতে যতোটা সময় লাগবে যদি পোস্টটা শেয়ার করা হয়, তাহলে অনেকেই হয়তো তার সাাহায্য এগিয়ে আসতে পারে বা আমি যেই চাকরি খুঁজে দিবো তার চেয়েও ভালো চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে পারে। কারণ এখন অনেকেই এরকম সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে।