অভিযোগ প্রমাণিত হলে যে শাস্তি হতে পারে কনস্টেবল নাজমুলের

টিপকাণ্ডে সাময়িক বরখাস্ত পুলিশ কনস্টেবল নাজমুল তারেকের দোষী প্রমাণিত হলে তার শাস্তি আরও বাড়বে। তেজগাঁও কলেজের প্রভাষক লতা সমাদ্দারের অভিযোগের প্রমাণ মিললে বড় ধরনের শাস্তি হতে পারে নাজমুলের।

মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন।

তিনি বলেছেন, ‘নাজমুল আগেও শাস্তির মুখে পড়েন। চাকরিজীবনে তিনি এ পর্যন্ত তিনবার শাস্তির মুখোমুখি হয়েছেন। এবার তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে বড় ধরনের শাস্তি হতে পারে। ডিএমপির বিভাগীয় ব্যবস্থায় যদি গুরুদণ্ড হয়, তাহলে আগামী পাঁচ-ছয় বছর তার পদোন্নতি আটকে যেতে পারে।’

তবে বিষয়টি এখনো তদন্তাধীন বলে জানালেন পুলিশের এ ঊধ্বতন কর্মকর্তা। অভিযোগকারীকে বিষয়টি প্রমাণ করতে হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘যিনি ঘটনা সম্পর্কে অভিযোগ করেছেন, তাকে প্রমাণ করতে হবে। আমাদের ইনকোয়ারি কমিটি কাজ করছে। পুলিশ প্রটেকশন বিভাগের একজন অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) এবং তেজগাঁও বিভাগের একজন সহকারী কমিশনারকে (এসি) এ তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।’

বিষয়টি খুব গুরত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) বিপ্লব কুমার সরকার। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবকিছু বিষয় মাথায় রেখেই তদন্ত চলছে। তদন্তকাজে যার যার সঙ্গে কথা বলা প্রয়োজন, সবার সঙ্গেই কথা বলছি আমরা।’

ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন বলেন, ‘ঘটনার অভিযোগ ওঠার পর থেকে পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত ও অভিযুক্তকে শনাক্ত করেছে। পুলিশ তদন্তে আন্তরিক। এখানে গাফিলতির সুযোগ নেই। ঘটনাস্থলে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। অভিযুক্ত ব্যক্তির স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আশা করছি, দ্রুতই পুরো ঘটনা উন্মোচিত হবে।’

তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক ড. লতা সমাদ্দারের অভিযোগ, গত ২ এপ্রিল রাজধানীর গ্রিন রোডের বাসা থেকে কলেজে যাওয়ার পথে হেনস্তার শিকার হন তিনি। হুট করে পাশ থেকে পুলিশের পোশাক পরা একজন ‘টিপ পরছোস কেন’ বলেই মন্তব্য করেন। ঘটনার প্রতিবাদ জানালে একপর্যায়ে তার পায়ের ওপর দিয়েই বাইক চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন ওই ব্যক্তি।

পরে এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় ‘ইভটিজিং’ এবং ‘প্রাণনাশের চেষ্টা’র অভিযোগে জিডি করেন তিনি।
বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়ে তদন্ত করে অভিযুক্ত কনস্টেবল নাজমুলকে চিহ্নিত করে পুলিশ।

সূত্র : যুগান্তর