এক শহরেই ৪ শতাধিক মরদেহের সন্ধান

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ দখলের আশায় পার্শ্ববর্তী এলাকা অবরুদ্ধ করে রাখে রুশ বাহিনী। কিন্তু সেসব এলাকা থেকে রুশ বাহিনী সরে যাওয়ার পর বুচা শহরে ৪১০টি মৃতদেহের সন্ধান পেয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

রাশিয়ার সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধের বিষয়ে তদন্ত শুরু করতে গিয়ে এসব মৃতদেহ খুঁজে পেয়েছে তারা। রবিবার ইউক্রেনের শীর্ষ প্রসিকিউটর বলেছেন, এ বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু, তারা এতটাই মর্মাহত যে কথাও বলতে পারছে না। খবর রয়টার্স।

গত শনিবার কিয়েভের আশপাশের এলাকা থেকে রাশিয়ার সেনা প্রত্যাহার করা হয়। এরপর শহরগুলোর বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রচার শুরু হয়। রাজধানী কিয়েভের পার্শ্ববর্তী বুচা শহরের মেয়র বলেছেন, চেচেন যোদ্ধারা এলাকাটি নিয়ন্ত্রণ করার সময় রাশিয়ান বাহিনীর হাতে তিন শ জন বাসিন্দা নিহত হয়েছেন।

তবে, বুচায় বেসামরিক লোকদের হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাশিয়া। মস্কো বলেছে, সেখানকার কোনো বাসিন্দাই রাশিয়ান বাহিনীর সহিংসতার শিকার হয়নি। উল্টো এ বিষয়ে কিয়েভকে দোষারোপ করে রাশিয়া বলছে, পশ্চিমা সংবাদমাধ্যম ব্যবহার করে উসকানিমূলক সংবাদ ছড়াচ্ছে ইউক্রেন।

ইউক্রেনের প্রসিকিউটরেরা রবিবার প্রথমবারের মতো বুচা, ইরপিন এবং হোস্টোমেল শহরে ঢুকতে সক্ষম হন। প্রসিকিউটর জেনারেল ইরিনা ভেনেদিকতোভা বলেছেন, রুশ বাহিনী কী কী অপরাধ করেছে তা বের করতে আরও সময় প্রয়োজন।

তিনি বলেছেন, এ জন্য আমাদের প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কাজ করতে হবে। মানুষ এতটাই চিন্তিত যে, তারা সশরীর হাজির হয়ে তদন্ত দলের সঙ্গে কথা বলতে অক্ষম।

এখন পর্যন্ত বুচায় ১৪০টি মৃতদেহ পরীক্ষা করা হয়েছে। কিয়েভ অঞ্চলের একটি ফিল্ড হাসপাতালে যতটা সম্ভব ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ সরবরাহ করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেছেন জেনারেল ইরিনা ভেনেদিকতোভা।

ইউক্রেনের ন্যাটো সামরিক জোটে যোগদানের পদক্ষেপকে নিজেদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি ঘোষণা দিয়ে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে হামলা শুরু করে রাশিয়া। আজ রোববার এ যুদ্ধ ৪০তম দিনে গড়িয়েছে।