কোন দেশে কত ঘন্টা রোজা রাখতে হবে, জেনে নিন

বিশ্বব্যাপি পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়েছে। রমজানের রোজা ফরজ ইবাদত ও আল্লাহর নির্দেশ। ঈমানদারদের জন্য রোজা রাখা যে ফরজ তা জানিয়ে মহান আল্লাহ তাআলা ঘোষণা দেন: ‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে। যেভাবে তোমাদের আগের লোকদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছিল। যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পার।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ১৮৩)

ফারসি শব্দ রোজার আরবি অর্থ হচ্ছে সওম, বহুবচনে সিয়াম। সওম বা সিয়ামের বাংলা অর্থ বিরত থাকা। ইসলামী শরীয়তে সিয়াম হল আল্লাহর নির্দেশ পালনের উদ্দেশে নিয়তসহ সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার, কামাচার, পাপাচার এবং সেই সাথে যাবতীয় ভোগ-বিলাস ও অপ্রয়োজনীয় কাজ থেকে বিরত থাকার নাম সিয়াম বা রোজা।

চাঁদ দেখার ওপর ভিত্তি করে যেমন রোজা শুরু বা শেষ হওয়ার তারিখ নির্ধারিত হয়, তেমনি সূর্যের উদয় বা অস্ত যাওয়ার ওপর নির্ভর করে রোজার সময়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত মুসলমানরা তাদের দেশের ভৌগোলিক অবস্থানের উপর নির্ভর করে কম বা বেশি সময় ধরে রোজা রাখেন। যা সর্বনিম্ন থেকে সর্বোচ্চ পর্যন্ত পরিবর্তিত হয়। এবার রমজানে কোথাও রোজা পালন হবে ১১ ঘণ্টা আবার কোথাও ২০ ঘণ্টা।

এবার সবচেয়ে বেশি সময় রোজা রাখতে হচ্ছে গ্রীনল্যান্ড, নরওয়ে, ফিনল্যান্ড বাসিন্দাদের। এসব দেশে বসবাসকারী মুসলমানেরা ২০ ঘন্টা রোজা রাখবেন।

অন্যদিকে, দক্ষিণ গোলার্ধের দেশগুলোতে রোজার সময়কাল কম হবে। নিউজিল্যান্ড, আর্জেন্টিনা এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মুসলমানদের গড়ে মাত্র ১১ থেকে ১২ ঘণ্টা রোজা রাখতে হবে।

সুইডেন, জার্মানি ১৯ ঘন্টা রোজা রাখতে হবে।

লন্ডন, বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড, ডেনমার্ক, পোল্যান্ড ১৮ ঘন্টা।

আইসল্যান্ড ১৬ ঘণ্টা ৫০ মিনিট, পোল্যান্ড ১৫ ঘণ্টা, ব্রিটেন ১৫ ঘণ্টা ১৬ মিনিট, ফ্রান্স ১৫ ঘণ্টা ১৬ মিনিট এবং পর্তুগালে ১৬ ঘণ্টা এক মিনিট।

বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এবং মধ্যপ্রাচ্যের বেশিরভাগ দেশে, মুসলমানদের প্রতিদিন ১৪ থেকে ১৫ ঘন্টা রোজা রাখতে হবে।

দক্ষিণ আফ্রিকা (জোহানেসবার্গ), ব্রাজিলের মুসলমানদের ১১ ঘণ্টা, আর্জেন্টিনা ১১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট, নিউজিল্যান্ড ১১ ঘণ্টা ৫৫ মিনিট এবং প্যারাগুয়ের ১২ ঘণ্টা রোজা রাখতে হবে যা সর্বনিম্ন সময় পরিগণিত হবে।