রাশিয়ার একটি তেলের ডিপো ধ্বংস করেছে ইউক্রেন

ইউক্রেন সীমান্তবর্তী রাশিয়ার বেলগোরোদ শহরের একটি তেলের ডিপো ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে। মস্কোর অভিযোগ— বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের পর বিমান হামলার চালিয়ে ডিপোটি ধ্বংস করেছে ইউক্রেন।

ইউক্রেন অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তবে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত চপার হেলিকপ্টার শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে মস্কো।
শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে এক পোস্টে বেলগোরোদের মেয়র ভিয়েচেস্লাভ গ্ল্যাডকভ হামলা সম্পর্কে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের পর ইউক্রেন প্রতিরক্ষা বাহিনীর দু’টি হেলিকপ্টার সীমান্ত পাড়ি দিয়ে শহরের ওই তেলের ডিপোর কাছাকাছি পৌঁছে গোলাবর্ষণ করে। দু’টি হেলিকপ্টারেই বেশ নিচুতে উড়ছিল।’

ওই ডিপোতে মোট ১৬টি জ্বালানি তেলের ট্যাংক ছিল। হামলার পর ৮টি ট্যাংকে আগুন ধরে যায়। তবে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা শুক্রবার দুপুরের পর সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম রিয়া নভোস্তি।

হামলায় ডিপোর দুইজন কর্মী আহত হয়েছেন বলে টেলিগ্রাম পোস্টে জানিয়েছেন ভিয়েচেস্লাভ গ্ল্যাডকভ। তবে সেই ডিপোটির স্বত্বাধিকারী সংস্থা ও রাশিয়ার সরকারি তেল উত্তোলন ও বিপণন কোম্পনি রোসনেফ্ট জানিয়েছে, হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্ত থেকে বেলগোরোদের দূরত্ব ৩৫ কিলোমিটার। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ সেনাবাহিনী ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করার পর এই প্রথম রাশিয়ার ভেতরে ঢুকে হামলা ও দেশটির কোনো স্থাপনায় আঘাত হানার অভিযোগ উঠল ইউক্রেনের বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল বার্তাসংস্থা রয়টার্স। কুলেবা রয়টার্সকে বলেন, ‘সামরিক বাহিনীর কোনো তথ্য আমার কাছে আসে না। তাই এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে পারব না।’

এই হামলার ফলে অবশ্য রাশিয়ার ওই এলাকায় জ্বালানি তেলের কোনো সংকট হবে না বলে জানিয়েছে মস্কো, তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে— এই সময় এ ধরনের হামলা ইউক্রেনের জন্য ক্ষতির কারণ হবে।

ক্রেমলিনের প্রেস সেক্রেটারি ও মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তুরস্কে রুশ ও ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদের মধ্যে চলমান শান্তি সংলাপের প্রসঙ্গ টানেন এবং বলেন, ‘এ ধরনের হামলা শান্তি আলোচনাকে বিপদগ্রস্ত করতে পারে। কারণ অস্বস্তিকর পরিবেশে শান্তি সংলাপকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়।’