‘অস্ত্রের ট্রিগার চেপে রেখেছিলাম, একাধারে গুলি বের হচ্ছিল’

রাজধানীর শাজাহানপুরে গুলিতে নিহত প্রীতি (বাঁয়ে) এবং টিপু হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আসামি মাসুম। টিপুকে হত্যার উদ্দেশ্যেই মাসুম গুলি চালায়। তবে প্রীতিকে উদ্দেশ করে গুলি ছোড়া হয়নি বলে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন টিপু হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আসামি মাসুম। রবিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার এসব তথ্য জানান।

রাজধানীর শাজাহানপুরে এলোপাতাড়ি গুলিতে নিহত আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফনান প্রীতি হত্যার ঘটনায় শ্যুটার মাসুম মোহাম্মদ আকাশকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি।

তবে হত্যার আগের দিনই টিপুকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আকাশ স্বীকার করেছে। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে মাসুম বলেন, ‘আমার টার্গেট ছিল টিপুকে হত্যা করা। তাই আমি অস্ত্রের ট্রিগার চেপে রেখেছিলাম। একাধারে গুলি বের হচ্ছিল। প্রীতিকে টার্গেট করে গুলি মারিনি। প্রীতির শরীরে যে গুলি লেগেছে সেটা আমি জানতাম না। হত্যার পরের দিন টিভি দেখে জেনেছি। তাকে আমি গুলি করতেও যাইনি। আমার টার্গেট ছিল কেবল টিপু। ’

এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, হত্যার আগের তিন দিন টিপু রেস্টুরেন্ট থেকে বাসার উদ্দেশে বের হলে রাস্তা অনুসরণ করে গুলি করার প্রস্তুতি নেন মাসুম। তবে বেশি লোকজন থাকায় সেদিন ব্যর্থ হন। ঘটনার দিন (২৪ মার্চ) এক ব্যক্তি টিপুর রেস্টুরেন্টে অবস্থান করে মাসুমকে আপডেট দিতে থাকেন। টিপুর গাড়ি শাহজানপুরে রাস্তায় যানজটে দাঁড়ালে টিপুকে লক্ষ্য করে এলাপাতাড়ি গুলি করে পালিয়ে যান আকাশ।

গ্রেপ্তারের আগে আকাশ বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় যান দেশ ছাড়ার জন্য। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় হত্যাসহ চারটি মামলা রয়েছে। সেই মামলা থেকে অব্যাহতির জন্য টিপুকে হত্যার কন্ট্রাক্ট পান তিনি। আকাশ একজন প্রফেশনাল কিলার বলেও জানিয়েছেন ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার। হত্যায় আরো কয়েকজন জড়িত আছেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। তবে তদন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে থাকায় তাদের নাম বলেননি ডিবির এই কর্মকর্তা।