নিজেকে শুধুমাত্র একজন নারী হিসেবে দেখেন না। নিজের ব্যক্তিজীবনকে কখনোই নির্দিষ্ট ছকে বেঁধে রাখেননি। এমনকি পর্দাতেও নির্দিষ্ট অবতারে বারবার হাজির হননি। নিরপেক্ষতাতেই বিশ্বাস করেন তিনি। শুধু তাই নয়, নিজেকে উভলিঙ্গ হিসেবেই ভাবতে পছন্দ করেন এই অভিনেত্রী। বলছি কঙ্কনা সেন শর্মার কথা।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কঙ্কনা জানান, সমাজের তৈরি লিঙ্গ কাঠামোতে তিনি বিশ্বাস করেন না।
তার ভাষ্য, ‘নিজেকে একজন নারী হিসেবে মোটেই দেখি না। সম্পূর্ণ নিউট্রাল মানুষ মনে করি। লিঙ্গ প্রকৃতপক্ষে শিখিয়ে পড়িয়ে দেওয়া বিষয়, যা আমি ব্যক্তিগতভাবে একদমই বিশ্বাস করি না। যদি কোনো সিনেমায় নারী সুলভ আচরণ করতে হয়, তখনও তা আমাকে রীতিমতো শিখতে হয়। এক কথায় নিজেকে কিছুটা উভলিঙ্গ বলেই মনে হয়।’
নিজের বড় হওয়ার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন এই অভিনেত্রী জানান, ‘ছোটবেলা থেকে আজ পর্যন্ত কখনও আমাকে কোনও কিছুতে কম্প্রোমাইজ করতে শেখানো হয়নি। মা (অপর্ণা সেন) এবং বাবা (মুকুল শর্মা) দু’জনেই মুক্ত চিন্তাধারার মানুষ। সেই মানসিকতা নিয়েই বড় হয়েছি। আমার ছেলে হারুণকেও একই শিক্ষা দিচ্ছি।’
এখানেই শেষ নয়, আরও বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন কঙ্কনা। স্পষ্ট ভাষায় তিনি বলেছেন, ‘সহবাস ব্যাপারটি আমার জন্য নয়। নিজস্ব ঘর, বাথরুমের ব্যাপারে আমি খুব খুঁতখুঁতে। প্রায় রাতে আমি জেগেই থাকি। সে সময়ে নিজের ব্যক্তিগত কাজ সেরে নিই। সেই সময়টি আমার একা থাকা দরকার।’
প্রসঙ্গত, আশির দশকে ‘ইন্দিরা’ ছবিতে শিশুশিল্পী হিসেব অভিনয় করেছিলেন কঙ্কনা। এরপর ‘এক যে আছে কন্যা’ সিনেমার মাধ্যমে নায়িকা হিসেবে সফর শুরু। মায়ের পরিচালনায় ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস আইয়ার’ ছবিতে অভিনয় করে সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পান। বলিউডের একাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন। শুধু অভিনেত্রী নয়, পরিচালক হিসেবেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন কঙ্কনা।