আজ বিশ্ব কিডনি দিবস ২০২২। বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশে এই দিবসটি পালিত হচ্ছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘সুস্থ কিডনি সবার জন্য, জ্ঞানের সেতুবন্ধনে সাফল্য’। বিশ্বে বর্তমানে ৮৫ কোটি মানুষ বিভিন্ন ধরনের কিডনি রোগে ভুগছে এবং ১০ লাখ মানুষ প্রতিবছর মারা যাচ্ছে। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ মানুষ দরিদ্র ও নিম্ন-মধ্য আয়ের দেশের, বাকি ২০ শতাংশ উচ্চ আয়ের দেশের।
বাংলাদেশ কিডনি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আর রশিদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বাংলাদেশে কয়েকটি এলাকায় জরিপে জানা যায়, ১০ বছর আগে ওই সব এলাকার মোট জনসংখ্যার ১৫ থেকে ১৬ শতাংশ মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত ছিল।
বর্তমানে এই হার আরো বেড়েছে। এর প্রধান কারণ, প্রতিবছর ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের রোগী বাড়া। ডায়াবেটিস রোগী ২০১১ সালে ছিল ৮০ লাখ, ২০১৮ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক কোটি ১০ লাখ। উচ্চ রক্তচাপের রোগী ২০১১ সালে ছিল এক কোটি ৮০ লাখ, এখন দুই কোটির ওপরে। এসব রোগের উপসর্গ হয় না। ফলে আক্রান্তরা চিকিৎসকের পরামর্শ নেন না। ’
তিনি আরো বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে, ৪০ শতাংশ মানুষ জানে না তাদের ডায়াবেটিস রোগ আছে, আর ৬০ শতাংশ মানুষ জানে না তারা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছে। ৯০ শতাংশ মানুষ জানে না তাদের প্রস্রাবের সঙ্গে আমিষ নির্গত হয়। এর ফলে নিজের অজান্তেই তারা দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগে (ক্রনিক কিডনি ডিজিজ) আক্রান্ত হয় এবং ওই সময় পরীক্ষা-নিরীক্ষায় জানা যায়, তাদের ৭০-৮০ শতাংশের দুটি কিডনিই অকেজো হয়ে গেছে।
ওই সময় চিকিৎসা করে আর তাদের রোগের অগ্রগতি কমানো সম্ভব হয় না। ফলে শনাক্তের পাঁচ-ছয় বছরেই তাদের ৯০ শতাংশের দুটি কিডনিই নষ্ট হয়ে যায়। আজ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও কিডনি চিকিৎসকদের সংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করবে। এর মধ্যে আছে আলোচনাসভা, শোভাযাত্রা, বিনা মূল্যে হেলথ স্ক্রিনিং ক্যাম্প ও ওয়েবিনার।