সৌদি আরবে ইয়েমেনির হাতে প্রাণ হারালেন প্রবাসী বাংলাদেশি তুহিন

সৌদি আরবের একটি খাবারের দোকানে চাকরি করতেন বাংলাদেশি যুবক তুহিন আহমেদ। সততা ও কাজে আন্তরিকতার কারণে দোকান মালি;কের আস্থা;ভাজ;ন ছিলেন তিনি।

আর অন্য কর্মচারীদের তুলনায় মালিকের বেশি আস্থাভাজন হওয়াই শেষ পর্যন্ত কাল হলো ২১ বছর বয়সী এ যুবকের। স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে সহকর্মী ইয়েমেনের এক যুবকের হাতে খুন হন তিনি। নি;হ;ত তুহিন হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের রমজানপুর গ্রামের তারেক উদ্দিনের ছেলে।

পরিবারের বরাত দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য রাসেল আহমেদ জানান, সাত-আট বছর আগে তুহিনের বাবা মা;রা যান। বাবা মা;রা যাওয়ার পর দুই ছেলেকে নিয়ে বিপাকে পড়েন তাদের মা। একপর্যায়ে জীবিকার তা;গিদে তিনি সৌদি আরব পাড়ি জমান।

বছর দেড়েক আগে বড় ছেলে তুহিনকেও সৌদি আরব নিয়ে যান তার মা। সেখানে একটি খাবারের দোকানে কর্মচারী হিসেবে চাকরি নেন তুহিন।

ঐ দোকানে আরো তিন কর্মচারী আছেন। সততা ও কাজের প্রতি আন্তরিকতার কারণে তুহিনকে তার মালিক খুব ভালোবাসতেন। গুরুত্বপূর্ণ কাজে তুহিনের ওপরই ভরসা করতেন তিনি। এ কারণে অন্য তিন কর্মচারী তুহিনকে হিংসা করতেন।

শুক্রবার রাতে চার কর্মচারী একসঙ্গে খেতে বসলে একটি তুচ্ছ বিষয় নিয়ে সহকর্মী ইয়েমেনের এক যুবকের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় তুহিনের।

একপর্যায়ে ঐ যুবক তুহিনের নাকে ও বুকে ঘুষি মারেন। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃ;ত্যু হয়। এ ঘটনার পর ইয়েমেনের ঐ যুবককে গ্রে;ফ;তা;র করেছে সৌদি পুলিশ। নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহিউদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে যেহেতু এখন জেনেছি অবশ্যই খোঁজ নেব।’

পরিবারের সদস্যরা তুহিনের ম;র;দে;হ দেশে আনতে চাইলে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছেন ইউএনও।