আরও ২০ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ছাড়াল ১৯ লাখ

দেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা আরও কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২০ জন। আর নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে পাঁচ হাজার ২৩ জনের শরীরে। দেশে করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজার ৭৯১ জনের। মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৯ লাখ ছাড়িয়েছে। গত প্রায় দুই বছরে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে ১৯ লাখ চার হাজার ৮২৬ জনের শরীরে।

শনিবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

এর আগের দিন (শুক্রবার) করোনায় মারা গিয়েছিল ২৭ জন। আর করোনা শনাক্ত হয়েছিল পাঁচ হাজার ২৬৮ জনের। গত বৃহস্পতিবার করোনায় মারা গিয়েছিল ৪১ জন। এ হিসেবে দুই দিনের ব্যবধানে করোনায় মৃত্যু অর্ধেকে নেমে এসেছে। দুই দিনে শনাক্তও কমেছে প্রায় দুই হাজার।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩০ হাজার ৪৪৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৬.৫০ শতাংশ। এই সময়ে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আট হাজার ৮২১ জন। মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা ১৬ লাখ ৬৪ হাজার ৮০২ জন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত এক দিনে মারা যাওয়া ২০ জনের মধ্যে পুরুষ ১২ জন এবং নারী আটজন। মোট মৃতদের মধ্যে পুরুষ ১৮ হাজার ৩৮২ জন আর নারী ১০ হাজার ৪০৯ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ১৩ জন। এছাড়া রাজশাহী বিভাগে দুইজন, খুলনা বিভাগে দুইজন, বরিশাল বিভাগে একজন, সিলেট বিভাগে একজন ও রংপুর বিভাগে একজন মারা গেছেন। গত এক দিনে চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহ বিভাগে করোনায় কেউ মারা যাননি।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। গত বছরের ২০ নভেম্বর দেশে প্রথমবারের মতো এবং ৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয়বারের মতো করোনায় মৃত্যুহীন দিন দেখে বাংলাদেশ। এছাড়া বাকি সব দিনই মৃত্যু দেখেছে বাংলাদেশ।

করোনার নতুন ধরন অতি সংক্রামক ওমিক্রনের কারণে গত ডিসেম্বরের শেষ দিক থেকে বাড়তে থাকে শনাক্তের সংখ্যা। শুরুতে মৃত্যুর সংখ্যা কম থাকলেও পরবর্তী সময়ে তাও হু হু করে বাড়তে থাকে। করোনার এই তৃতীয় ঢেউয়ে এক দিনে ৪৩ জনের মৃত্যু এবং ১৫ হাজারের বেশি শনাক্ত দেখেছে বাংলাদেশ।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের চূড়া পেরিয়েছে বাংলাদেশ। এখন শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা আস্তে আস্তে কমবে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের। তবে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর জোর দিয়েছেন তারা। অন্যথায় করোনার সংক্রমণ আবার বেড়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।