সংক্রমণের যতদিন পর্যন্ত স্ট্রোকের আশঙ্কা বেশি

স্ট্রোক সাধারণত যে কোনো সময় ঘটতে পারে। তবে করোনাকালীন সময়ে স্ট্রোকের রোগী বেড়েছে। এবার করোনা আক্রান্ত হওয়ার কত দিন পর্যন্ত স্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা সর্বোচ্চ সেটাও জানিয়েছে এক গবেষণা।

করোনা নিয়ে সবাই রয়েছেন দুশ্চিন্তায়। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ফুসফুসের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা খুব বেশি। তবে বর্তমান কিছু গবেষণা জানাচ্ছে, ফুসফুসের সমস্যা ছাড়াও দেখা দিতে পারে অন্যান্য অনেক জটিল সমস্যা। এমনকি স্ট্রোকও হতে পারে।

করোনা আক্রান্ত হওয়ার প্রথম তিন দিনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি থাকে স্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা থাকে বলে জানিয়েছেন আমেরিকার একদল গবেষক। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে বলে জানায় তারা।

আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন বা সিডিসির স্ট্রোক বিভাগের গবেষণায় প্রাথমিক ভাবে উঠে এসেছে কোভিডকালে স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি সংক্রান্ত এই তথ্য।

সংবহনতন্ত্রের সমস্যায় ভুগছেন এমন রোগীর ক্ষেত্রে স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দেয় করোনা। সাধারণ রোগীদের ক্ষেত্রে যাঁদের বয়স ৬৫ থেকে ৭৪ এর মধ্যে তাদের ক্ষেত্রেও এই ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি। কোভিড উদ্বেগের মধ্যেই আমেরিকার একদল গবেষকের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে যে করোনা আক্রান্ত হওয়ার প্রথম তিন দিনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি থাকে স্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা।

গবেষকরা জানিয়েছেন, কোভিড আক্রান্ত হওয়ার সাত দিন আগে ও ২৮ দিন পরে কোনও ব্যক্তির যতটুকু স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি থাকে, তার তুলনায় কোভিড আক্রান্ত হওয়ার প্রথম তিন দিন পর্যন্ত স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে প্রায় ১০ গুণ বেশি।

স্ট্রোকের ইতিহাস নেই এমন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে যাঁদের বয়স ৬৫ থেকে ৭৪ এর মধ্যে, তাঁদের এই ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। তবে তিন দিন পার হয়ে গেলে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যায় অনেকটাই।

৬৫ বছরের বেশি বয়সী ৩৫,৩৭৯ জন রোগীর চিকিৎসার ইতিহাস পরীক্ষা করেছেন গবেষকরা। গবেষকদের আরো দাবি করেছেন, প্রথম তিন দিনের পর, চতুর্থ থেকে সপ্তম দিন পর্যন্ত এই ঝুঁকি থাকে ৬০ শতাংশ বেশি এবং অষ্টম থেকে চতুর্দশ দিন পর্যন্ত স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি থাকে প্রায় ৪৪ শতাংশের কাছাকাছি। তবে সংক্রমণের দ্বিতীয় সপ্তাহের পর এই ঝুঁকি কমে হয় ন’শতাংশ।