মালয়েশিয়ায় অবৈধভাবে প্রবেশকারীদের সাথে এ কেমন আচরণ

মালয়েশিয়ায় অবৈধ প্রবেশকারীদের চাবুক মারা বা বেত্রাঘাত নিয়ে চলছে সমালোচনা। বেশ কয়েকদিন ধরে দেশটিতে অবৈধ প্রবেশকারীদের নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। সরকারের নীতিনির্ধারকরা বলছেন, বিদেশিরা মালয়েশিয়ায় অবৈধভাবে প্রবেশ করতে হাজার হাজার রিঙ্গিত খরচ করে। তারা গরিব নয়।

এ বিষয়ে দেশটির বুকিত আমানের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এবং পাবলিক অর্ডারের (কেডিএন) পরিচালক হাজানি গাজালি বারবার মালয়েশিয়ায় অবৈধভাবে প্রবেশকারী অভিবাসীদের চাবুক মারার প্রস্তাব করার পর এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়।

ওই কেডিএন কর্মকর্তার প্রস্তাবের সমালোচনা করে দেশটির প্রাক্তন মন্ত্রী ও অ্যাডভান্সমেন্ট পার্টির প্রধান পি ওয়েথা মুরথি বলেন, দরিদ্র শ্রমিক যারা নিছক সৎ জীবনযাপনের চেষ্টা করছেন তাদের চাবুক মারা যাবেনা।

তিনি বলেন, বেত্রাঘাতের মতো শারীরিক শাস্তি প্রাচীন যুগের। শ্রমিক শ্রেণিকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শক্তির দ্বারা প্রথম প্রবর্তন করা হয়েছিল।

এছাড়া অভিবাসীদের উপর আর্থিক বোঝা চাপানো এবং তাদের দুর্বলতাকে কাজে লাগানোর বিষয়গুলো পুলিশের তদন্তকরা উচিত বলে মনে করেন ওয়েথা মুরথি।

সম্প্রতি বুকিত আমানের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এবং পাবলিক অর্ডার ডিরেক্টর হাজানি গাজালি বলেন, অভিবাসীরা যারা বারবার আমাদের সীমান্ত অতিক্রম করে অবৈধভাবে ধরা পড়ছে তাদের আটকাতে বেত্রাঘাত করা উচিত। বর্তমান অভিবাসন আইন ইতোমধ্যে অবৈধভাবে প্রবেশকারীদের চাবুক মারা বা বেত্রাঘাতের শাস্তি দিচ্ছে।