করোনার সংক্রমণের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সশরীর শ্রেণি কার্যক্রম আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হলেও এই সময়ে অনলাইন বা ভার্চ্যুয়ালি প্ল্যাটফর্মে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এই সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ও চালু থাকবে। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণার এক দিন পর আজ শনিবার (২২ জানুয়ারি) এ বিষয়ে এসব বিষয়ে মোট ১১ দফা নির্দেশনা জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। জরুরি প্রয়োজনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষক-কর্মচারীদের দায়িত্বে নিয়োজিত রাখতে পারবেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান।
যে ১১ দফা নির্দেশনা মানতে বলা হয়েছে:
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সময় শ্রেণিকক্ষ, গ্রন্থাগার, গবেষণাগারসহ প্রতিষ্ঠানের সব বিদ্যুৎ, টেলিফোন, ইন্টারনেট, পানি ও গ্যাস–সংযোগ নিরবচ্ছিন্ন ও নিরাপদ রাখতে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এই সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ ও সামগ্রিক নিরাপত্তার বিষয়টির প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।
এ ছাড়া যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রাবাস বা ছাত্রীনিবাসে বৈধ আবাসিক শিক্ষার্থীরা অবস্থান করছে, তাদের সুবিধার্থে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেগুলো খোলা থাকবে। তবে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন সব দপ্তর ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত সব কর্মকর্তা, শিক্ষক ও কর্মচারীর অবশ্যই টিকা সনদ গ্রহণ করতে হবে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলমান ক্রীড়া প্রতিযোগিতা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে।
এরআগে গতকাল শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশজুড়ে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী দুই সপ্তাহ দেশের সকল স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
মন্ত্রী বলেন, করোনা সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় আগামী দুই সপ্তাহের জন্য দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে ওনার সম্মতি সাপেক্ষেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে পাঁচ দফা জরুরি নির্দেশনা জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। শুক্রবার এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এতে আর বলা হয়েছে, স্কুল কলেজের মতো এই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও নিজ নিজ ক্ষেত্রে অনুরূপ ব্যবস্থাগ্রহণ করবে। পাশাপাশি রাষ্ট্রীয়, সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় সমাবেশ বা অনুষ্ঠানসমূহে এক শ জনের বেশি জনসমাগম করা যাবে না।