দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার পরে সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় তা নিয়ন্ত্রণে পাঁচটি পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। বুধবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে কারিগরি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. সহিদুল্লা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিটিতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ৫৩তম সভা জুম প্ল্যাটফর্মে বুধবার (১৮ জানুয়ারি) রাত ১০টায় অনুষ্ঠিত হয়। কোভিড-১৯ রোগের সাম্প্রতিক ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ বিষয়ে বিস্তারিত বিশ্লেষণ ও আলোচনা হয়। কমিটির সদস্যদের করা পরামর্শগুলো হচ্ছে-
১. কোভিড-১৯ পজেটিভ রোগীরা লক্ষণ প্রকাশের ১০দিন পর্যন্ত আইসোলেশনে থাকবে। এছাড়া কোভিড-১৯ নিশ্চিত রোগীর সংস্পর্শে এসেছেন এমন ব্যাক্তি যাদের কোন উপসর্গ নেই, তাদের কোয়ারেন্টিনের প্রয়োজন নেই, তবে তাদেরকে টাইট মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে।
২. বিমানবন্দরসহ সকল পোর্ট অব এন্ট্রিতে সরকারি স্বাস্থ্য নির্দেশনা যথাযথভাবে পালনের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে নজরদারি বৃদ্ধির জন্য কমিটি সুপারিশ করছে।
৩. সব সরকারি হাসপাতালে সার্বক্ষণিক কোভিড-১৯ ও নন-কোভিড সকল রোগীর জরুরি চিকিৎসা নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়।
৪. মন্ত্রিপরিষদ কর্তৃক জারি করা প্রজ্ঞাপনের বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অংশীদের যেমন- পরিবহন মালিক সমিতি, দোকান মালিক সমিতি, রেস্তোরা মালিক সমিতির নেতারাসহ সবাইকে সম্পৃক্ত করে পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
৫. জাতীয় পরামর্শক কমিটি জনগণকে মাস্ক পরিধান নিশ্চিতকরণে সরকারের পক্ষ থেকে সাধারণ জনগণকে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণের প্রস্তাব করে। এছাড়া জনপ্রতিনিধি ও ধর্মীয় প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জনগণকে সঠিকভাবে মাস্ক পরিধান এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধকরণের সুপারিশ করা হয়।