করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে প্রাণ হারিয়েছেন এখন পর্যন্ত মোট ২৮ হাজার ১২৯ জন।
এই সময়ে নতুন করে করোনা ধড়া পড়েছে ৪ হাজার ৩৭৮ জনের শরীরে। এ নিয়ে মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৯ হাজার ৪২ জনে। শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৬৬ শতাংশে।
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আগের দিন বৃহস্পতিবার ৩ হাজার ৩৫৯ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। এদিন ১২ জনের মৃত্যু হয়। শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়ায় ১২ দশমিক ০৩ শতাংশে। এর আগে বুধবার ২ হাজার ৯১৬ জনের শরীরে করোনা ধরা পড়ে। এদিন করোনায় ৪ জনের মৃত্যু হয়। শনাক্তের হার ছিল ১১ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। চলতি বছরের ৫ ও ১০ আগস্ট দুদিন সর্বোচ্চ ২৬৪ জনের মৃত্যু হয়।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় চলতি বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু-হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
চলতি বছরের গত ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এরপর বেশকিছু দিন ২ শতাধিক মৃত্যু হয়।
এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে।
২০২০ সালের এপ্রিলের পর চলতি বছরের ১৯ নভেম্বর প্রথম করোনাভাইরাস মহামারিতে মৃত্যুহীন দিন পার করে বাংলাদেশ।সর্বশেষ দ্বিতীয়বারের মতো ৯ ডিসেম্বর মৃত্যুশূন্য দিন পার করেছে দেশ।
সূত্র : যুগান্তর