আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধি ও আমদানির ব্যয় বেড়ে যাওয়ার অজুহাত দিয়ে আড়াই মাসের ব্যবধানে আবারো সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আগামী শনিবার থেকেই তারা নতুন দাম কার্যকর করতে চান। ভোজ্যতেল পরিশোধন কারখানাগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বৈঠক ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বৈঠকে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর প্রতিনিধিরা এতে উপস্থিত থাকবেন।
চলতি সপ্তাহে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ। বুধবার বিকালে সচিব বলেন, ‘সমিতি একটা প্রস্তাব দিয়েছে। কাল বৃহস্পতিবার আমরা এ নিয়ে আলোচনায় বসব।’
বর্তমানে দেশে বোতলজাত সয়াবিন তেল লিটারপ্রতি ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা ১৬৮ টাকা করতে চান।
জানা গেছে, পরিশোধন কারখানাগুলো গত নভেম্বর মাসে লিটারপ্রতি বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৭২ টাকা নির্ধারণ করার কথা বলেছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে।
গত ১৯ অক্টোবর লিটার প্রতি সাত টাকা দাম বাড়িয়ে বোতলজাত সয়াবিনের দাম ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। যা আগে ছিল ১৫৩ টাকা ছিল। পাঁচ লিটারের এক বোতল তেল ৭২৮ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৬০ টাকা করা হয়। এছাড়া খোলা সয়াবিন তেল লিটারপ্রতি ১৩৬ টাকা ও বোতলজাত পাম সুপার তেল ১১৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
এক দফা দাম বাড়ানোর আড়াই মাসের মধ্যে আবারো লিটার প্রতি আট টাকা বাড়ানোর কারণ হিসেবে সংগঠনের পক্ষ থেকে আবেদনে ব্যবসায়ীরা আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধির কথা বলা হচ্ছে।
তবে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কতটুকু বেড়েছে তা যাচাই করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব। ট্যারিফ কমিশনের তথ্যানুসারে, দেশে বছরে প্রায় ২০ লাখ টন ভোজ্যতেলের চাহিদা আছে, যার ৯০ শতাংশই পূরণ হয় আমদানির মাধ্যমে।
মন্ত্রণালয়ে দেওয়া আবেদনে সমিতি আরও বলেছে, এক মাস আগে, অর্থাৎ গত ৩ ডিসেম্বর থেকেই সয়াবিন তেলের দাম বাড়াতে চেয়েছিল তারা। কিন্তু মানুষের ক্রয়ক্ষমতার কথা বিবেচনা করে পরে সেখান থেকে সরে আসে। আমদানি ব্যয় এত বেড়েছে যে, বর্তমান দামে বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। সয়াবিনের পাশাপাশি সমিতি পাম তেলের দামও বাড়াতে চায়।