আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনে জনগণ থেকে প্রত্যাখ্যান আর আন্দোলনে চরম ব্যর্থতাই বিএনপির একমাত্র প্রাপ্তি।
সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে ওয়ার্ম আপ চলছে, বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ওবায়দুল কাদের শুক্রবার সকালে তার বাসভবনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে একথা বলেন।
কাদের বলেন, কোনো ওয়ার্ম আপেই কাজ হবে না, নেতিবাচক এবং হঠকারী রাজনীতির কারণে জনগণ বিএনপিকে চিনে ফেলেছে।
যাদের পায়ের নিচে থেকে মাটি সরে যাচ্ছে, তারা আবার সরকার পতনের দিবা স্বপ্ন দেখছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নেয়নি বলেই ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিতে পারেনি।
ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বলেন, সরকার পতন, আন্দোলন- এসব মুখরোচক শব্দ বৃষ্টি করে কোনো লাভ নেই।
গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ব্যালটের মাধ্যম আর নির্বাচন ছাড়া পরিবর্তনের কোনো বিকল্প নেই, তাই অলি-গলি পথে না হেঁটে নির্বাচনমুখী হওয়ার জন্য বিএনপি নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।
সরকার স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, মানুষের অধিকার হরণ করেছে- বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতারা যখন এসব কথা বলেন তখনও স্বাধীনতাবিরোধী উগ্রসাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী তাদের বগলদাবায়।
কাদের বলেন, দেশবিরোধী সব অপশক্তির অভিন্ন প্লাটফর্ম হচ্ছে বিএনপি। যারা নিজেরাই স্বাধীনতার চেতনা নস্যাতে জন্মলগ্ন থেকেই অপতৎপরতা চালাচ্ছে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশের স্বাধীনতা এসেছে, আওয়ামী লীগই এর সুরক্ষা দিতে পারে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে।
বিএনপি এদেশে ভোটারবিহীন নির্বাচন করে মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছিল মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ভোট না দেওয়ার অভিযোগে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন চালিয়েছিল, আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে মানুষের স্বাধীন চলাচলের অধিকার হরণ করেছিল। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে, এগিয়ে নিয়েছেন দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে। এজন্যই সরকারের উন্নয়নের রাজনীতিতে বিএনপি ঈর্ষাকাতর।
বিএনপি নিজেদের অন্ধকার ভবিষ্যত দেখে হতাশায় কাতর মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণের সামনে দাঁড়ানোর সাহস এবং বলার মতো কিছুই নেই বিএনপির। তাইতো বিএনপি মিথ্যাচারের সঙ্গী ও অপপ্রচারের বন্ধু হয়েছে এবং জোট বেঁধেছে অপরাজনীতির সঙ্গে।
সূত্র : ঢাকাটাইমস