ডাক্তারের অবহেলায় পেটে কাঁচি রেখে অপারেশনের প্রায় দুই বছর পর আবারও মনিরা খাতুনের (১৮) অপারেশন করে কাঁচিটি বের করা হয়েছে। ওই তরুণী গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার ঝুটিগ্রামের খায়রুল মিয়ার মেয়ে।
শনিবার (১১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রতন কুমার সাহার নেতৃত্বে কয়েকজন ডাক্তার তিন ঘণ্টা চেষ্টার পর কাঁচিটি বের করতে সক্ষম হয়।
এ ব্যাপারে ডা. রতন কুমার সাহা বাংলানিউজকে জানান, আমরা তিন ঘণ্টা চেষ্টার পর অপারেশন করে কাঁচিটি বের করতে সক্ষম হই। মনিরা অজ্ঞান রয়েছে তাই সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছেনা।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন পেটের ভিতরে কাঁচি থাকার কারণে তার পেটের নাড়ির কিছু অংশ পচন ধরায় কেটে ফেলতে হয়েছে। তার কৃত্রিম নাড়ি লাগানো লাগতে পারে।
ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, শনিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে মনিরার পেটে থেকে কাঁচি বের করার জন্য অপারেশন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কাজ করছি।
উল্লেখ্য, মনিরা খাতুন নামে এক তরুণী ২০২০ সালের ৩ মার্চ ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পেটে টিউমার নিয়ে ভর্তি হন। ভর্তির সাতদিন পর তার অপারেশন করা হয়। অপারেশনের সময় মনিরার পেটে কাঁচি রেখেই সেলাই করেন ডাক্তার। ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে ‘পেটে কাঁচি রেখেই অপারেশন শেষ!’
এই শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করে বাংলানিউজ। এর পরপরই টনক নড়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
সূত্র : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর