ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’, আঘাত হানতে পারে আজই

শনিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ-ওড়িশা উপকূলে আঘাত হানতে পারে। বাংলাদেশে আঘাত না করলেও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। শনিবার সকালে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক নম্বর-৭) এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় ১৬.১ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৫.৮ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়টি শনিবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৩০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৯৬ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৮৫ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৯৫ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও অগ্রসর হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিমি যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবেই উত্তাল রয়েছে।

এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়লা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত (পুনঃ) ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করারও পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এদিকে শনিবার ভোট ৫টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত নদীবন্দরসমূহের জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল এবং পটুয়াখালী অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব দিক দিয়ে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিমি বেগে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে সেই সাথে বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টিও হতে পারে।

এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর (পুন.) ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) ওড়িশার গজপতি, গঞ্জাম, পুরী এবং জগিসংহপুর জেলায় লাল সতর্কতা জারি করেছে ( খুব ভারি বৃষ্টিপাত)। যখন ঘূর্ণিঝড় উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছবে, সেই সময়ের জন্য কেন্দ্রপাড়া, কটক, খুরদা, নয়াগড়, কান্ধমাল, রায়গড় এবং কোরাপুট জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানার সময় উপকূলবর্তী এলাকায় বাতাসের গতিবেগ ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত থাকতে পারে। সময় নিউজ।