শীতে গুড় খেলে দূরে থাকবে যেসব রোগ

শীত আসতেই পিঠা-পুলি তৈরির ধুম পড়ে যায় ঘরে ঘরে। আর পিঠা বা পায়েসের স্বাদ গুড় ছাড়া ঠিক জমে না। গুড়ে থাকে- ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, পটাসিয়ম ও ফসফরাস। এছাড়া গুড়ে আছে জিংক, তামা, থায়ামিন, রাইবোফ্লাভিন ও নিয়াসিন।

পুষ্টিবিদদের মতে, রস থেকে তৈরি প্রাকৃতিক গুড়ে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ উপাদান। যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। খেজুরের গুড়ে এমন অনেক ওষুধি গুণ থাকে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

শীতকালে গুড় খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে প্রতিবেদন করেছে পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইট। সেই তথ্য অনুযায়ী জেনে নেওয়া যাক শীতে গুড় খাওয়ার উপকারিতা:

১. শীতে গুড় খাওয়া শরীরের জন্য ভালো। গুড় খেলে শরীর সুস্থ থাকে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
২. গুড় তাপ উৎপাদন করে শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখে। এতে আছে উচ্চ মানের ক্যালোরিফিক, যা শরীর উষ্ণ রাখে এবং শক্তি যোগায়।

৩. সর্দি-কাশি ও সাধারণ ঠাণ্ডার কারণে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া নিয়ন্ত্রণে রাখে গুড়। ক্ষতিকর অনুজীব বৃদ্ধি-হ্রাস করতে সাহায্য করে।
৫. গুড়ে থাকে লৌহ, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, সেলেনিয়াম এবং পটাশিয়াম। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও সংক্রমণ দূরে রাখে।

৬. কফ, গলাব্যথা, ফোলা বা খুসখুস করা দূর করতে সাহায্য করে গুড়। এ ছাড়া শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা যেমন-কফ, বা বুকে কফ জমাট বাঁধা, রক্ত প্রবাহে সমস্যা ইত্যাদি দূর করতে সাহায্য করে।
৭. গুড় রক্ত পরিষ্কার করে। হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়। আর অবাঞ্ছিত উপাদান দূর করে।
৮. গুড় শরীর থেকে অবাঞ্ছিত উপাদান দূর করে পাকস্থলী, অন্ত্র, ফুসফুস ও খাদ্যনালি সুস্থ রাখে।

গুড়ের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে। তাই বলে অতিরিক্ত গুড় খাবেন না। এতে ওজন বেড়ে যেতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীরা গুড় খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।