পরিবহণ মালিক-শ্রমিকদের হুশিয়ার করে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যাত্রীদের কাছ থেকে কোনোভাবেই যেন অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা না হয়। এ ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করলে জনস্বার্থে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।
সোমবার সকালে তার সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গ্যাস, অকটেন ও পেট্রোলচালিত যানবাহনের ক্ষেত্রে বর্ধিত ভাড়া প্রযোজ্য হবে না।
ট্রাক-কাভার্ডভ্যানের ধর্মঘটের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বসে সমাধানের উদ্যোগ নিচ্ছেন বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপি নেতাদের বিভিন্ন বক্তব্যের জবাবে বলেন, দেশে কোনো ভয়ংকর পরিস্থিতি নেই।
তিনি বলেন, জনস্বার্থে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি, দুর্নীতিবাজ এবং অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান কঠোর।
জনগণের সম্পদ যারা লুণ্ঠন করে তাদের বিরুদ্ধে স্বাভাবিকভাবেই সরকারের অবস্থান কঠোর উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি সম্পদ লুণ্ঠনকারীদের পক্ষ নিয়েছে বলেই এ ধরনের বক্তব্য রাখছে।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, এ দেশে রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়নের অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছে অগণতান্ত্রিক স্বৈর সরকার, তারাই রাজনীতিকে কলুষিত করেছে, আর এ দায় বিএনপি কখনো এড়াতে পারবে না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ককে হত্যা করে স্বাধীনতার চেতনাবিরোধী ধারায় রাষ্ট্র পরিচালনা করেছিল, সিপাহী জনতার বিপ্লব নামে দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তা হত্যা করেছিল, সময় এসেছে তাদের মুখোশ উন্মোচন করার।
হাতের তালু দিয়ে বিএনপি আকাশ ঢাকতে চায় কিন্তু সত্য প্রকাশিত হবেই উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সত্যের বন্যা অপ্রতিরোধ্য।
১৯৭৫ এর ৩ নভেম্বর থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত যে সব ষড়যন্ত্রমূলক ঘটনা সংঘটিত হয়েছে তা জনসমক্ষে আনা হয়নি, কারো কারো কৃত্রিম ইমেজ তৈরি করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তদন্ত কমিশন গঠনের মাধ্যমে সেসব ঘটনা এবং দায়ীদের মুখোশ উন্মোচন এখন সময়ের দাবি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, পূজামণ্ডপে হামলা করেছে যারা, আগুন জ্বালিয়েছে যারা, যারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে চেয়েছে, তারা বিএনপির ভাষায় দেশপ্রেমিক।
অভিযুক্তদের দেশপ্রেমিক কর্মী বলে বাঁচানোর চেষ্টা করছে বিএনপি উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, পূজামণ্ডপে যারা হামলা করেছে ভিডিও ফুটেজ দেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে।