হলুদের গুঁড়া আসল না নকল বুঝবেন যেভাবে

মসলার মধ্যে হলুদ অন্যতম। কাঁচা হলুদ থেকে শুরু করে গুঁড়া হলুদের ব্যবহার ব্যাপক। নিত্য খাবার ব্যঞ্জনের রঙ করার উদ্দেশ্যেই প্রধানত এর ব্যবহার হয়ে থাকে তা নয়। শারীরিক প্রয়োজনেও হলুদের ব্যবহার হয়ে থাকে। শুধুমাত্র হলুদ দিয়েই রোগ নিরাময়ে বহুমাত্রিক ব্যবহার সম্ভব। শরীর সুস্থ রাখতে ভেজালবিহীন খাবার খাওয়া দরকার। যতই চারপাশে ভেজালের বাড়বাড়ন্ত থাকুক না, নিজেকেই পরখ করে নিতে হবে খাঁটি উপকরণগুলো।

আবার বর্তমানে ব্যস্ত জীবনে হলুদ গুঁড়া ছাড়া গৃহস্থালি রীতিমতো অচল। হলুদ গুঁড়ার ক্ষেত্রে তার গুণাগুণ অবশ্যই একটা বড় কারণ। কখনও ঘুমের আগে দুধের সঙ্গে হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে খাওয়া হয়। কারণ এর ফলে ঘুম হয় ভাল। কখনও হঠাৎ পাওয়া চোট কিংবা আঘাতে হাতের কাছে কোনও ওষুধ না থাকলে সামান্য হলুদ গুঁড়া লাগিয়ে দেওয়া যায়।

বাজারচলতি প্যাকেটের হলুদ গুঁড়াই ভরসা। অথচ চারপাশে যা ভেজালের বাড়বাড়ন্ত তাতে অনেকেরই সবচেয়ে বেশি ভয় লাগে এই ভেবে যে, হলুদ গুঁড়োতেও কিছু মিশিয়ে দেওয়া হয়নি তো? যতই হোক, গুঁড়ো মশলা যেহেতু কাঁচা খাওয়া হয় না, ফলে তার ভেজাল চেখে বোঝার উপায় নেই। ভেজাল থাকলেও তা সরাসরি মিশে যায় রান্নায়।

গবেষণায় দেখা গেছে হলুদ গুঁড়ায় ‘ক্রোমেট’ নামে এমন এক ধরনের কেমিক্যাল মেশানো থাকে। এই উপাদান হলুদ গুঁড়াকে আরও বেশি উজ্জ্বল হলুদ করে তোলে। কীভাবে বুঝবেন আপনার কেনা হলুদ গুঁড়ায় ভেজাল আছে কি না? তার জন্য রয়েছে একটি সহজ পরীক্ষা। বাজার থেকে খাঁটি হলুদ গুঁড়া কিনে আনুন। অনেক সময়ে হলুদ পিষে গুঁড়া করে স্বচ্ছ প্যাকেটে ভরে বিক্রি করা হয়।

সে রকম হলুদ গুঁড়াই কিনতে পারেন।অন্য দিকে কোনও প্যাকেটের হলুদ গুঁড়া কিনুন। বিশেষ করে যে হ হলুদ গুঁড়ায় ভেজাল মেশানো আছে বলে সন্দেহ করছেন। দুটো গ্লাসে দুই রকমের হলুদ গুঁড়া এক চা চামচ করে ঢেলে দিন। আলাদা আলাদা চামচ দিয়ে নেড়ে নিন। এ বার খেয়াল করুন হলুদ গুঁড়া মেশানো জলের পরিবর্তন দেখুন।

যে গ্লাসের জল হলুদ গুঁড়া মেশানোর পরে উজ্জ্বল হলুদ রং থাকবে, তা অবশ্যই ভেজাল মেশানো। সেই হলুদ গুঁড়া না খাওয়াই উচিত। যে গ্লাসের পানির হলুদ রং অনেকটাই ফিকে হয়ে যাবে এবং হলুদ গুঁড়ো গ্লাসের তলায় থিতিয়ে পড়বে, তা কিন্তু খাঁটি। তা হলে সহজেই বোঝা গেল কোন হলুদ গুঁড়ায় ভেজাল আছে।