স্বাস্থ্যবিধি মানা ও টিকাদানের হার বাড়ানোর ফলে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বস্তির আভাস দিলেও এর প্রভাব এখনো রয়েছে। গত একদিনে প্রাণহানির তালিকায় যুক্ত হয়েছেন আরও ৮ হাজার ৮৭০ জন। এই সময়ে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ১১ হাজার মানুষ।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২২ কোটি ৬৬ লাখ ২৮ হাজার ৫৬২ জনের। মৃত্যু হয়েছে ৪৬ লাখ ৬১ হাজার ৬১৪ জনের।
করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ২০ কোটি ৩৩ লাখের বেশি মানুষ। এখন করোনা রোগী রয়েছেন প্রায় এক কোটি ৮৬ লাখ। এদের মধ্যে ১ লাখ ২ হাজারের বেশি রোগীর অবস্থা গুরুতর।
করোনায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪ কোটি ২২ লাখ ৮৮ হাজারের বেশি মানুষের। এছাড়া মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৮২ হাজার ৩৪১ জনের।
করোনায় হতাহতের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩ কোটি ৩৩ লাখ ১৫ হাজারের বেশি মানুষের। এই মারণ ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৫২৮ জনের।
তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। দেশটিতে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২ কোটি ১০ লাখ ১৯ হাজারের বেশি মানুষের। মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৮৭ হাজার ৮৪৭ জনের।
তালিকায় ২৮ নম্বরে থাকা বাংলাদেশে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৫ লাখ ৩৪ হাজার ৪৪০ জনের এবং মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ৭ জনের। এখন করোনা রোগী রয়েছেন ২০ হাজার ৭৬৫ জন। এদের মধ্যে ১৪৪১ জনের অবস্থা গুরুতর।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জোরকদমে চলছে টিকাদান। এরই মধ্যে বেশিরভাগ দেশ তাদের প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার বেশিরভাগকে টিকা দিয়ে ফেলেছে। টিকা দেয়ার হার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শিথিল করা হয়েছে করোনা বিধিনিষেধ। এরই মধ্যে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ওঠানো শুরু করেছে দেশগুলো। বাংলাদেশ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।