স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী পেঁপে। তা কাঁচা হোক কিংবা পাকা। সুমিষ্ট পাকা পেঁপে রং, সুবাস আর স্বাদে অতুলনীয়। পুষ্টিগুণের জন্য বিশ্বে জনপ্রিয় ফলগুলোর মধ্যে পেঁপে একটি অন্যতম খাবার। বহু ধরনের অসুস্থতাতেও চিকিৎসকরা রোগীকে পেঁপে খাওয়ানোর পরামর্শ দেন। কিন্তু পেঁপে খাওয়ার বিপদও আছে। যেসব সমস্যায় পেঁপে খাওয়া বিপজ্জনক হতে পারে জেনে নিন
শ্বাসকষ্টের সমস্যায়
যাদের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা আছে; তাদের জন্য পেঁপে ক্ষতিকর। পেঁপেতে উপস্থিত একটি এনজাইমকে অ্যালার্জেন বলে। এর অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতা যেমন হাঁপানির মতো সমস্যা বাড়তে পারে।
শিশুদের নয়
চিকিৎসকদের পরামর্শ মতে, এক বছরের কম বয়সী শিশুদেরকে পেঁপে খাওয়ানো উচিত নয়। পেঁপেতে অনেক ফাইবার থাকে, যা ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে সমস্যার কারণ হতে পারে। কারণ শিশুরা কম পানি পান করে। এতে তাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগতে হতে পারে। তাই কাঁচা অথবা রান্না কোনো অবস্থাতেই শিশুদেরকে পেঁপে খাওয়ানো উচিত নয়।
কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে
কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে পেঁপে খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ বেশি পেঁপে খেলে পেটে পানির পরিমাণ কমে যায়। তাতে এই সমস্যা বাড়ে।
ডায়াবেটিসের সমস্যায়
ডায়াবেটিস রোগীর জন্যও পেঁপে ক্ষতিকর হতে পারে। এতে থাকা নানা পুষ্টি উপাদান টাইপ-১ এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে। তবে বেশি পরিমাণে পেঁপে খাওয়া ডায়াবেটিস রোগীর জন্য বিপজ্জনক। কারণ এতে রক্তে শর্করার মাত্রার হঠাৎ পরিবর্তন হতে পারে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের পেঁপে খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
কিডনি রোগীদের জন্য
পেঁপেতে অধিক পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় কিডনি রোগীদের জন্য খুবই বিপজ্জনক।
প্রজনন ক্ষমতা কমাতে পারে
পেঁপের বীজের নির্যাস পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা কমাতে সক্ষম। বীর্জে শুক্রাণুর সংখ্যা কমাতে এবং শুক্রাণুর নড়াচড়ার ক্ষমতা কমার পেছনেও দায়ী হতে পারে পেঁপে।
গর্ভবতী নারীর ক্ষেত্রে
গর্ভবতী নারীর ক্ষেত্রে পেঁপে ক্ষতিকর হতে পারে। চিকিৎসকরা গর্ভাবস্থায় নারীদের পেঁপে খাওয়া এড়ানোর পরামর্শ দেন। পেঁপের বীজ, শিকড় এবং পাতা গর্ভের শিশুর জন্য ক্ষতিকর। বিশেষ করে কাঁচা পেঁপেতে থাকা প্যাপেইন দেহের ঝিল্লি ক্ষতিগ্রস্ত করে। এ ছাড়াও পেঁপে ল্যাটেক্সসমৃদ্ধ, যা জরায়ুর সংকোচন, রক্তপাত এবং এমনকি গর্ভপাত ঘটাতে পারে।