প্রবাসীরা দেশে যাওয়ার সময় অন্য কারো মালামাল বহনে সাবধান!

সৌদি প্রবাসী জামাল মিয়া, কাতার প্রবাসী রফিকউদ্দিন, বাহরাইন প্রবাসী জব্বার আলী। তারা প্রত্যেকে এখন বাংলাদেশে জেলে। কিন্তু কেন?

সৌদি প্রবাসী জামাল মিয়া দেশ আসার আগে, তাকে এক লোক অফার করলো ১০টা সোনার বার সঙ্গে নিয়ে গেলেই টিকিটের টাকা দেওয়া হবে।

কোন ঝামেলা নাই। লোভে পড়ে রাজি হলেন জামাল মিয়া। দেশে এসে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ধরা পড়ে জেলে । যে তাকে নিতে বলেছিলো, তার কিন্তু আসলে ঝামেলা হয় নাই।

কাতার প্রবাসী রফিকউদ্দিন। ফ্লাইটের ২ দিন আগে এক লোক এস বললো ভাই আমার মা অসুস্থ। ১ বক্স তার জন্য ওষুধ । ভাই আপনি শুধু বিমানবন্দরে গিয়ে আমার ভাইয়ের হাতে দিলেই হবে।

নিজের মা মারা গেছে অনেক আগে। রফিকউদ্দিনের মায়া হলো। সেই বক্সটি নিয়ে ঢাকায় আসলো। বিমানবন্দরে ধরা পড়লো বক্স ভর্তি মা;দ;ক। বাহরাইন প্রবাসী জব্বার আলী। তার বন্ধু তাকে একটা চার্জার ফ্যান দিয়েছে।

ঢাকায় নিয়ে যেতে হবে। এজন্য তাকে ৫ হাজার টাকা দিতেও চেয়েছিলো তার বন্ধু। বন্ধুর একটা ফ্যানই তো, টাকা নিননি জব্বার। ঢাকায় এসে ধরা পড়লেন জব্বার। কারণ চার্জার ফ্যানের ভিতরে লুকানো ছিলো ২ কেজি সোনা।

প্রিয় প্রবাসী, লোভ পড়ে কারণ অবৈধ মালামাল নিজের সঙ্গে বহন করবেন না। যতই পরিচিত হোক অন্যের মালামাল বহন না করাই উত্তম। খুব কাছের কেউ হলেও নিজের চোখের সামনে পণ্যটি দেখে, যাচাই করে সঙ্গে নেবেন।

মনে রাখেন, পণ্য যারই হোক, বহনকারী হিসেবে সেই পণ্যের দায় দায়িত্ব আপনার। অবৈধ পণ্য বহন করে নিজের বিপদ ঢেকে আনবেন।

সূত্রঃ ফেসবুক