সাতক্ষীরায় ইটের তৈরি কবরে সমাহিত করা হয়েছে মাহমুদুল হাসান (৩৪) নামের এক যুবককে। বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, ওই গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে মাহমুদুল হাসান একটি ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কলারোয়া উপজেলায় কর্মরত ছিলেন। বৃহস্পতিবার ভোরে স্ট্রোকে মারা যান তিনি।
মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসলে দাফন নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় স্বজনদের। গোটাগ্রাম পানিতে তলিয়ে রয়েছে। কোথাও একটু মাটি নেই। পরে ভাটার টানে পানি কমে রাস্তার ধারে একটু মাটি জেগে উঠলে সেখানে ইট দিয়ে কবরের আদলে ঘর তৈরি করে সেখানে তাকে দাফন করা হয়।
মাহমুদুল হাসানের বাবা শহিদুল ইসলাম বলেন, এলাকার বাড়িঘরসহ কবরস্থানে বুকসমান পানি। লাশ দাফনের জন্য কোনো জমিন নেই। পরে রাস্তার ধারে একটু মাটি জেগে উঠলে সেখানে ইট দিয়ে কবরের আদলে ঘর করে তাকে মধ্যে সমাহিত করা হয়।
নিহতের চাচা প্রতাপনগর আল আমিন মহিলা আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ মাসুম বিল্লাহ বলেন, দুর্যোগের এ সময়ে এলাকায় কবর দেয়ার মতো কোথাও মাটি না থাকায় রাস্তার ধারে ইট দিয়ে চৌবাচ্চা গেঁথে তার মধ্যে মৃত ব্যক্তিকে কবর দেয়া হয়।
এ বিষয়ে প্রতাপনগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান বলেন, সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বাঁধ ভেঙে পানিতে ভেসে যায় আশাশুনির প্রতাপনগরের বিস্তীর্ণ জনপদ। নদনদী এলাকায় শুকনো মাটির অভাবে ভেঙে যাওয়া বাঁধগুলো পরিপূর্ণ সংস্কার করা যায়নি। এ অবস্থায় গ্রামগুলোতে জোয়ার ভাটা বিদ্যমান। নদীর পানির সঙ্গে একাকার হয়ে যাওয়ায় গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে অথৈই পানি।