অতিরিক্ত আম খাওয়ার বিপদ

মৌসুমি ফলের মধ্যে আম আমাদের সবার আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে। এ সময় প্রতিদিনই আমরা এ সুস্বাদু ফলটি খেতে পছন্দ করি। গরমে বাইরে থেকে ফিরে এক টুকরো পাকা আম খেলে তা শরীরে প্রশান্তি আনে। কিন্তু খেতে মিষ্টি বলে বা প্রশান্তির জন্য হলেও আম বেশি খাওয়া উচিত নয়। বেশি আম খেলে উপকারের থেকে অপকারই বেশি হতে পারে!

পাকা আমে থাকে ভিটামিন ‘সি’, ভিটামিন ‘বি’, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, ভিটামিন ‘এ’ বা বিটা ক্যারোটিন, উচ্চমাত্রার চিনি, কার্বোহাইড্রেট, গ্লাইসেমিক ইত্যাদি। পাকা আমে ফিনোলিকসজাতীয় উপাদান থাকায় তা অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের ভালো উৎস। তবে পাকা আমে চিনির পরিমাণ বেশি থাকায় শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা বাড়ায়।

ডায়াবেটিক রোগীদের পাকা আম এড়িয়ে চলা উচিত। কেননা রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ দ্রুত বাড়িয়ে শরীরের ক্ষতি করতে পারে পাকা আম।

পাকা আম বেশি খেলে ওজন বেড়ে যায়। বেড়ে যায় রক্তে শর্করার পরিমাণও। আমে থাকা কিছু উপাদান যেমন- ফিটোকেমিক্যাল কম্পাউন্ড তথা গ্যালিক এসিড, ম্যাঙ্গফেরিন, কোয়ার্নেটিন এবং টেনিন বা কষজাতীয় উপাদানগুলো বেশ ক্ষতিকর।

যারা অ্যাজমায় ভুগছেন, তারা প্রয়োজনে কম মাত্রায় আম খান। বিশেষ করে কিডনির সমস্যা রয়েছে যাদের, তাদেরও বেশি আম খাওয়া উচিত নয়।

এই আমের মৌসুমে আম খান পরিমিত। বিশেষ করে রোগীরা আম খাওয়ার ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করুন। কারণ সুস্থ থাকলে প্রতিদিনই আম খেতে পারবেন। আর অসুস্থ হলে আম থেকে দূরে থাকতে হবে।