অবশেষে সত্যটা প্র’কাশ পেলো, নিজ মুখেই খবরটা দিলেন বুবলি

গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন বছরের জানুয়ারি—এই দশ মাসে কোথাও দেখা যায়নি চিত্রনায়িকা শবনম বুবলীকে।সর্বশেষ কাজী হায়াত পরিচালিত ‘বীর’ ও সৈকত নাসির পরিচালিত ‘ক্যাসিনো’ ছবির শু’টিংয়ে অংশ নেন তিনি।গত ১২ ফেব্রুয়ারি ‘ক্যাসিনো’ ছবির একটি গানের শু’টিংয়ের পরই উধাও হোন ঢাকাই ছবির এ নায়িকা।

দশ মাস পর আবার ফি’রছেন জা’নিয়ে কথা বললেন। জা’নালেন, সন্তানের মা হওয়ার গু’’ঞ্জন আড়ালের থাকার কারণ।প্রথমেই আড়ালে যাওয়ার বি’ষষে তার জন্য কমন ব্যাপার জা’নিয়ে বুবলী বলেন, আড়ালে থাকা যদি হয় তবে বরাবরই এটা আমা’র জন্য খুবই কমন ব্যাপার। তবে কাজে যখন ব্যস্ত থাকি সবসময় সিনসিয়ার থাকি।

কিন্তু কাজে’র চা’প না থাকলে অবসর পেলে ওই সময়টা একেবারে নিজে’র মতো থাকি। সবারই ব্য’ক্তিগত জীবন, পরিবার রয়েছে। অবসর সময়টা ব্য’ক্তিগত ও পরিবারের জন্য রাখি।আর ফোনে পাওয়া না যাওয়ার কারণ আমা’র কাজে’র উদ্দেশে ব্যবহৃত ফোন নাম্বারটি কয়েকমাস ব্যবহার করিনি।

তবে হোয়াটসঅ্যাপে আমা’র অনেকের স’ঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। এরমধ্যে কয়েকজন নি’র্মাতার স’ঙ্গে কাজ নিয়েও কথা হয়েছে। সংবাদক’র্মী ভাই ব’ন্ধুসহ চলচ্চিত্রের সহক’র্মী দের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। কারণ, কাজে’র পারপাস ছাড়াও এ সময়টা অনেকেই আমি নি’রাপদে সু’স্থ আছি কিনা জা’নার খোঁ’জ’খবর নিয়েছেন।

নিজে’র মতো থাকার কারণে সবার স’ঙ্গে হয়তো যোগাযোগ সম্ভব হয়নি এজন্য দুঃখিত।এ সমযটা কোথায় ছিলেন আপনি? জানতে চাইলে উত্তরে বুবলী বলেন, ২০১৯ সাল থেকে আমা’র প’রিকল্পনা ছিল যখন একটু অবসর পাবো তখন নিজেকে আরো পরিপূর্ণ করে তৈরি করার জন্য নতুন কিছু শিখবো।

যেহেতু ফিল্মে কাজ করি, তাই শেখার কোনো শেষ নেই। কিন্তু কবে যাব’’ো এ নিয়ে একটু কনফিউশন ছিলো । তাই ‘বীর’, ‘ক্যাসিনো’ দুটি সিনেমা শেষ করে আমি ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে আমেরিকার নিউ ইয়র্ক যাই।

সেখানে ফিল্ম স’স্পর্কিত একটি কোর্স সম্পন্ন করেছি নিউ ইয়র্ক ফিল্ম একাডেমি থেকে। তিনমাসের কোর্স থাকলেও কোডিভ-১৯ আসায় সম্ভব হয়নি, একমাসে শেষ ক’রতে হয়েছে। লকডাউনের আগে সরাসরি ক্লাস ক’রতে হয়েছে। এরপর অনলাইনেই ক্লাস করেছি। আমা’র দেশে ফেরার কথা ছিল অনেক আগেই। কিন্তু লকডাউন থাকায় আসতে পারিনি। ২০২০ সালের নভেম্বরের শেষ দিকে দেশে আসতে পেরেছি।

তা কি শিখলেন এই কোর্স থেকে? উত্তরে বুবলী বলেন, অল্প সময়ে অনেক কিছু শিখেছি। কারণ, তারা অনেক বেশি প্রফেশনাল ও নিয়মকে’ন্দ্রিক। এ জিনিসটা নতুন করে নিজে’র মধ্যে গেঁথে নিয়েছি। মনে হয়, আগামীতে নিজে’র কাজে অনেককিছু নতুন সংযোজন ক’রতে পারবো। যেমন- নিউ মিডিয়া, ডিজিটাল বা সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে অনেক কিছু শিখেছি।

স্ক্রিপ্টে মনোলোগ বলে একটা ব্যাপার রয়েছে, যেটা অনেক বিজ্ঞরা ভালো বুঝবেন। সেটা নিয়েও পড়ালেখা করেছি। এছাড়া টেক্সট ইন অ্যাকশন , পারফরমেন্স এনালাইসিস, চিত্রনাট্যের ভাষা, ফিল্মে অ’ভিনয় সবকিছু নিয়ে নানান কিছু জানলাম। ইচ্ছে আছে আগামীতে আরও কোর্সের মাধ্যমে শেখার চেষ্টা করবো। কারণ, মানুষের জা’নার শেখার কোনো শেষ নেই।

বুবলীর সন্তানের মা হয়েছেন। এমন গু’’ঞ্জন বছর ব্যাপী মিডিয়া পাড়ায় চর্চিত ছিলো। বি’ষয়টি নিয়ে আপনার মুখ থেকেই জা’না দরকার। এমন প্রশ্নের মূখে বুবলী বলেন, ব্য’ক্তিগত কোনো কিছুই আমি কখনই রিভিল করিনা। তবে দর্শকদের যে পর্দার শিল্পীদের ব্য’ক্তিগত জীবন নিয়ে আগ্রহ রয়েছে, তাদের সেই আগ্রহকে আমি রেসপেক্ট করি। আর থাক না কিছু বি’ষয় ব্য’ক্তিগত।

ধীরে ধীরে আমা’র মুখ থেকেই সবাই সবকিছু জানতে পারবেন। সব একসাথে বলে দিলে তো ওই আগ্রহের জায়গাটা নাও থাকতে পারে। তবে কথা দিচ্ছি সঠিক সময়ে সব জানবেন তারা। আমি অবশ্যই জা’নাবো। কিন্তু এই জিনিস গু’লো খুবই স্প’র্শকাতর। দর্শকদের বলবো, আমা’র কাছ থেকে না জা’না পর্যন্ত এসবে কান না দিতে