পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে আজ শনিবার একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে। আগামীকাল রোববার এটি আরও শক্তি সঞ্চয় করে সোমবার নাগাদ উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। আগামী বুধবার ভারতের উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের খুলনা উপকূলের দিকে ঘূর্ণিঝড় হয়ে আছড়ে পড়তে পারে। এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম রাখা হয়েছে যশ (Yaas)।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টির এই নামকরণ করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমান। আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী, যে মহাসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়, তার অববাহিকায় থাকা দেশগুলো এর নামকরণ করে। পৃথিবীতে মোট ১১টি সংস্থা ঝড়ের নাম ঠিক করে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সিএনবিসিটিভিএইটিন’র প্রতিবেদনে বলা হয়, ফারসি শব্দ যশ অর্থ এমন গাছ, যা সুগন্ধ ছড়ায়। এই শব্দ দ্বারা জেসমিন বা জুঁই ফুলকে বোঝায়। বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, শ্রীলঙ্কাসহ ১৩টি দেশ নিয়ে গঠিত কমিটি এই নাম ঠিক করেছে।
ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন ও ইউনাইটেড নেশনস ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়ার সদস্য দেশগুলো ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ শুরু করে। যশ’র পর আরও যে ঘূর্ণিঝড়গুলোর নাম আগেভাগেই ঠিক করে রাখা হয়েছে, সেগুলো হলো গুলাব, সাহিন, জাওয়াদ, অশনি, সীতরাং, মানদৌস ও মোচা।
এদিকে, শনিবার ভারতের আলীপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় যশ কোথায় আছড়ে পড়বে, এখনো স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। তবে পশ্চিমবঙ্গেই ঘূর্ণিঝড়ের আছড়ে পড়ার আশঙ্কা বেশি। ২৬ মে সন্ধ্যার দিকে ‘যশ’ পশ্চিমবঙ্গ, সংলগ্ন উত্তর ওডিশা এবং বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করবে।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এটি পরে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। ২৬ মে নাগাদ এটি ওডিশা-পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশের খুলনা উপকূলে পৌঁছাতে পারে।