রোজিনা ইসলাম দেশের ভাবমূ;র্তি ন;ষ্ট করতে সুকৌ;শলে, অ;সৎ উদ্দেশ্যে ডকুমেন্ট সংগ্রহ করেছেন। সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের জামিন শুনানি শেষে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট হেমায়েত উদ্দিন হিরণ একথা বলেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর হাকিম বাকী বিল্লার ভার্চুয়াল আদালতে উভয়পক্ষের শুনানি শেষ হয়। নথিপত্র পর্যালোচনার জন্য রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আদালত। দ্রুততম সময়ের মধ্যে আদেশ দেয়া হবে।
জামিন শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী যুক্তি উপস্থাপন করে আদালতকে বলেন, এই মাম;লাটি অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টসহ দণ্ডবিধির ৩৭৯ এবং ৪১১ ধারার মামলা। যেগুলো সমস্ত জামিন অযোগ্য ধারার মাম;লা। অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের ৩ এবং ৫ ধারায় ১৪ বছর থেকে মৃত্যুদ;ণ্ড পর্যন্ত সাজার বিধান রয়েছে। আর যেহেতু এই আসা;মী করোনার সময়ে দেশের গোপন নথি কোনো অনুমতি ছাড়াই সেগুলো তার শরীরে বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে রেখেছেন এবং সেখান থেকে ছবি তুলে নিয়েছেন।
সেই কারণেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং সঙ্গত কারণেই তিনি এই ধারাগুলোর অপ;রাধ করেছেন।রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি যখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই করোনার সময়ে দেশের মানুষকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছেন, যখন ভারত থেকে করোনার টিকা আসা বন্ধ হয়ে গেছে, ঠিক তখনই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চীন এবং রাশিয়া থেকে টিকা আনার জন্য। এ নিয়ে মন্ত্রিসভায় যখন সিদ্ধান্ত হয় সেখানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ছিল। ঠিক সেই মুহুর্তে বাংলাদেশের ভাবমূ;র্তি ন;ষ্ট করার জন্য, দেশের নিরাপত্তা হু;মকির মুখে ফেলে দেয়ার জন্য সুকৌ;শলে আসা;মি অ;সৎ উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ডকুমেন্টগুলো সংগ্রহ করেছে।
সেজন্য আমরা বিজ্ঞ আদালতকে বলেছি, এই মাম;লাটি যেহেতু তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে, তাই মাম;লা নিষ্পত্তি হওয়া আগ পর্যন্ত, তথ্য উদঘাটন হওয়ার আগ পর্যন্ত তার জামিন না মঞ্জুর করে জে;ল হাজতে রাখার জন্য আবেদন করেছি।
তিনি বলেন, আমরা ভিডিওতে দেখেছি রোজিনা ইসলাম তার অ;পরাধ স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন এবং মুচ;লেকা দিতে চেয়েছেন। সেই ভিডিওটি আমরা আদালতে শিগগিরই উপস্থাপন করবো। আদালত সেগুলো বিবেচনা করে আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন।