আমার মৃ’ত্যুর জন্য রনি দায়ী! চিরকুট লিখে স্কুল ছাত্রীর আ’ত্মহ’ত্যা

ময়মনসিংহের তারাকান্দায় প্রেম করে বিয়ে না করায় ‘আমা’র মৃ’ত্যুর জন্য রনি দায়ী, সে আমাকে স্ত্রীর মতো ব্যবহার করছে।’ চি’রকু’ট লিখে বি’ষপানে আ’ত্মহ’ত্যা করেছে মিনারা আক্তার (১৫) নাম এক স্কুল ছাত্রী। এ ঘটনার পর থেকেই পালিয়েছে প্রেমিক রনি (২০)।

মিনারা উপজেলার বানিহালা ইউনিয়নের নলদিঘী গ্রামের মকবুল হোসেনের মেয়ে। সে স্থানীয় লাউটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। প্রেমিক রনি পার্শ্ববর্তী গালাগাঁও ইউনিয়নের বালিজানা গ্রামের মোঃ রফিকুল ইসলামের ছেলে।

সোমবার (১৭ মে) দুপুরে সময়ের কন্ঠস্বরকে বি’ষয়টি নিশ্চিত করেছেন তারকান্দা থা’নার ভারপ্রা’প্ত কর্মক’র্তা (ওসি) আবুল খায়ের। এর আগে রবিবার দুপুরে মুমূর্ষু অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিলে মা’রা যায় মিনারা। এ ঘটনায় রাতেই মিনারার ভাই রেজাউল বাদী হয়ে ওই প্রেমিকসহ চাচার বিরু’দ্ধে মাম’লা দায়ের করেছেন।

মাম’লার বরাত দিয়ে ওসি বলেন, শনিবার (১৫ মে) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে প্রেমিক রনি গোপ’নে প্রেমিকা মিনারার বাড়িতে তার সাথে দেখা করতে আসে। তখন বাড়ির লোকজন প্রেমিক রনিকে ঘরের ভেতর আট’ক করে। গ্রাম্য সালিশ দরবারে রনির সাথে মিনারার বিয়ে না দিয়ে রনিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরদিন রবিবার সকালে মিনারা প্রেমিক রনির বাড়ীতে বিয়ের দাবীতে যায়। তার এই বিয়ের প্রস্তাবে প্রেমিক রনি সারা না দেওয়ায় বি’ষপান করে গু’রুতর অ’সুস্থ হয়ে পড়ে।

এমতাবস্থায় প্রেমিক রনির কয়েকজন স্বজন মিনারাকে তারাকান্দা-ধোবাউড়া সড়কের পাশে বালিজানা নয়াপড়া ব্রীজের নিচে রেখে যায়। পরে মিনারাকে স্থানীয়রা উ’দ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে ক’র্তব্যরত চিকিৎসক মৃ’ত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও বলেন, স্কুলছাত্রী মিনারার বড় ভাই রেজাউল রবিবার রাতে প্রেমিক রনি ও তার প্রতিবেশী চাচা মজিবুরের নামে মাম’লা দায়ের করেছেন। লা’শ এখনো ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর’্গে আছে।মিনারার পরনের জামা থেকে একটি চি’রকু’ট উ’দ্ধার করা হয়েছে। সেখানে লেখা আছে ‘আমা’র মৃ’ত্যুর জন্য রনি দায়ী, সে আমাকে স্ত্রীর মতো ব্যবহার করছে।’