চু;রি ও অফিসিয়াল সি’ক্রেটস আইনে দা;য়ের করা মা;মলায় গ্রে;প্তার হয়ে কাশিমপুর কা;রাগা;রে আছেন দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলাম। তবে রোজিনার ৮ বছর বয়সী মেয়ে জানে, তার মা এখন অফিসের কাজে ঢাকার বাইরে আছেন।
রোজিনার বড় ভাই মো. সেলিম জানান, রোজিনার বিষয়ে জানতে মেয়েকে মোবাইল ও টিভি দেখতে দেওয়া হচ্ছে না। পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার পর একবার মেয়ের সঙ্গে কথা বলানো হয় রোজিনাকে। এ পাশ থেকে মেয়ে জানতে চাইল, ‘আম্মু তুমি কোথায়, কবে আসবে?’ রোজিনা ইসলাম বলেন, আম্মু, তুমি চিন্তা করো না। আমি একটু কাজে ঢাকার বাইরে এসেছি। অফিসের কাজে এসেছি। কাজ শেষ করেই চলে আসবো।’
তিনি বলেন, একমাত্র মেয়েটি রোজিনাকে ছাড়া কোনোভাবেই থাকতে পারে না। মেয়েকে রোজিনার কা;রাগা;রে যাওয়ার বিষয়টি বলা হয়নি। সোমবার রাত ও মঙ্গলবার সারাদিন পরিবারের সবাইকে মেয়েটি একই কথা বলতে থাকে, আম্মু কোথায়, আম্মু কবে আসবে? আমরা কোনোমতে তাকে বুঝ দিয়ে রেখেছি।
রোজিনার একাকীত্ব দূর করতে তাদের পরিবারের সবাই এক জায়গায় থাকছেন জানিয়ে মো. সেলিম বলেন, আমার ভাগ্নি (রোজিনার মেয়ে) যাতে একা হয়ে না যায়, তার মাকে মিস না করে সেজন্য তার মামি, মামাতো ভাই-বোন, বাবাসহ পরিবারের সবাই একসঙ্গে আছি। আমরা পরিবারে একটি আনন্দঘন পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছি, যাতে মেয়েটা আপাতত তার মায়ের কথা মনে না করে।
রোজিনার ছোট বোন সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, মেয়েটি আমাদের কাছেই আছে। শুধু মায়ের কথা বলে। আমরা তাকে রোজিনার কা;রাগা;রে যাওয়ার কথা বলিনি। তাকে কোনোমতে বুঝিয়ে রাখা হচ্ছে।
পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গেলে প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে সেখানে পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় আ;টকে রেখে হে;ন;স্তা করা হয়। একপর্যায়ে তিনি অ;সুস্থ হয়ে পড়েন। রাত সাড়ে আটটার দিকে পুলিশ তাঁকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়। রাত পৌনে ১২টার দিকে পুলিশ জানায়, রোজিনা ইসলামের বিরু;দ্ধে অফি;শিয়াল সিক্রে;টস অ্যাক্টে মা;মলা হয়েছে। তাঁকে এই মা;মলায় গ্রে;প্তার দেখানো হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে তাকে আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমা;ন্ড চান মাম;লার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আরিফুর রহমান সরদার। অপর দিকে তার আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার তার জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার রিমা;ন্ড আবেদন নামঞ্জুর করে জামিন শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন আদালত।