রোজিনা ইসলামের গ’লা চে’পে ধরার ভিডিও ভাইরাল

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেসা বেগম কর্তৃক দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের গ’লা চে’পে ধরার ভিডিও ভাইরাল।

সোমবার (১৭ মে) রাতে ভাইরাল হওয়া ৪ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দেখা গেছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেসা বেগম দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের গ’লা চে’পে ধরে তা’কে শা’সা’চ্ছেন।

আর ফেসবুক জুড়ে এই ঘটনার তী;ব্রনি;ন্দা ও প্রতি;বাদ জানানো হচ্ছে। একই সঙ্গে দৃষ্টা;ন্তমূল;ক শা;স্তির দাবিও করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, একজন সরকারি কর্মচারি হয়ে কিভাবে একজন মানুষের গ;লা চে;পে ধরতে পারেন। তিনি কোথায় এতো সা;হস পেল গায়ে হাত দেবার। তার বি;চার চাই।

জানা যায়, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রোজিনা ইসলাম পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান। স্বাস্থ্য সচিবের পিএস সাইফুল ইসলামের রুমে ফাইল থেকে নথি সরানোর অভি;যো;গে তাকে পুলিশ দিয়ে ওই রুমে আ;ট;কে রাখা হয় এবং তার মোবাইল ফোন কে;ড়ে নেওয়া হয়।

একপর্যায়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেসা বেগম রোজিনা ইসলামের গ;লা চে;পে ধরে তাকে শা;সা;চ্ছি;লেন। এসময় তিনি সেখানে অ;সুস্থ হয়ে পড়েন। পড়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে রোজিনা ইসলামকে পুলিশ স্বাস্থ্য সচিবের পিএসের রুম থেকে থেকে বের করে শাহবাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

এরপর রাত পৌনে ১২ টার দিকে রোজিনা ইসলামের বি;রু;দ্ধে শাহবাগ থানায় একটি মা;মলা করা হয়েছে। মা;মলার নম্বর ১৬, দ;ণ্ডবিধি ৩৯৭ এবং ৪১১ অফিসিয়াল সিক্রেসি এক্ট ১৯২৩ এর ৩/ ৫ এর ধারা মা;মলা করেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপ-সচিব শিব্বির আহমেদ ওসমানী। এই মা;মলার এক;মাত্র আ;সা;মি করা হয়েছে তাকে। তার বিরু;দ্ধে সরকারি নথি সরানো ও ছবি তো;লার অ;ভিযো;গ দা;য়ের করা হয়েছে।

মা;মলার অভিযো;গ পত্রে বলা হয়েছে, সোমবার দুপুর ২.৫৫ মিনিটে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিবের একান্ত সচিবের দপ্তরে রোজিনা ইসলাম নামে একজন নারী প্রবেশ করেন। এসময় একান্ত সচিব দাপ্তরিক কাজে সচিবের কক্ষে অবস্থান করছিলেন। উক্ত নারী দাপ্তরিক গুরুত্বপূর্ণ কাগজ পত্র শরীরের বিভিন্ন স্থানে লুকান এবং মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ছবি তোলেন। এসময় সচিব দপ্তরের দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য মো. মিজানুর রহমান খান বিষয়টি দেখতে পান এবং বাধা দেন এবং তিনি নির্ধারিত কর্মকর্তার অনুপস্থিতিতে কক্ষে কি করছেন মর্মে জানতে চান। এসময় তিনি নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দেন। পরে অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেসা বেগম, উপ-সচিব জাকিয়া পারভিন, সিনিয়র সহকারী সচিব শারমিন সুলতানা, সচিবের একান্ত সচিব মো. সাইফুল ইসলাম ভূঞা, সিনিয়র সহকারী সচিব মোসাদ্দেক মেহেদী ইমাম, অফিস সহায়ক মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম, সোহরাব হোসেনসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও স্টাফরা ঘটনাস্থলে আসেন। অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেসা বেগম ত;ল্লা;শি করে তার কাছ থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র, ডকুমেন্টসের ছবিসহ মোবাইল উ;দ্ধার করেন। এতে প্রতিয়মান হয় যে, তিনি ডকুমেন্টসগুলো ;চু;রি করে নিয়ে যাচ্ছিলেন।

এসময় সচিবালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে শাহবাগ থানার মহিলা পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে তাকে জি;ম্মায় নেন।

উল্লেখ্য, বর্তমানে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ভ্যাকসিন ক্রয়/সংগ্রহ সংক্রান্ত নেগোসিয়েশন চলমান রয়েছে এবং খসড়া সমঝতা স্মারক ও নন ডিসক্লোজার এগ্রিমেন্ট প্রণয়নের কাজ চলছে। সমঝতা স্বাক্ষর নিয়ে পক্ষদ্বয়ের মধ্যে প্রতিনিয়ত পত্র ও ই-মেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ হচ্ছে, যেখানে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সন্নিবেশিত রয়েছে।

উক্ত নারী যে সকল ছবি তুলেছেন তার মধ্যে উল্লেখিত কাগজপত্রও ছিল। এসকল তথ্য জনসমাগমে প্রকাশিত হলে সংশ্লিষ্ট দেশসমূহের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ন;ষ্ট হয়ে যাওয়ার আশ;ঙ্কা রয়েছে। উল্লেখিত কাগজপত্র গুরুত্বপূর্ণ বিধায় মন্ত্রণালয়ে সংরক্ষিত আছে, যা পরবর্তিতে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রদর্শন করা হবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে অভি;যো;গ দা;য়ের করতে বিল;স্ব হলো। অতএব এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করা হলো।