মুস’লিম পরিচ;য়ে বিয়ের ৭ বছর পর জানা গেলো স্বা;মী হি;ন্দু

নিজে’র ধ’র্ম পরিচয় গো’পন করে বিয়ে, কয়েক বছর ঘর-সংসারের পর স্ত্রী-সন্তান ফে’লে পালিয়ে যাওয়ার অ’ভিযোগে রাজশাহীতে এক চিকি’ৎসকের বি’রুদ্ধে প্রতারণা ও নি’র্যাতনের মা’মলা হয়েছে।

রোববার রাজশাহী নারী ও শি’শু নি’র্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতে বাদী হয়ে এ মা’মলা করেন ভুক্তভোগীর মা নগরীর শিরোইল মাস্টারপাড়ার হাফিজুর রহমানের স্ত্রী রেহানা বেগম। অ’ভিযুক্ত চিকি’ৎসকের নাম অর্জুন চন্দ্র চৌধুরী। তিনি স’ম্প্রতি এমবিবিএস পাশ করেছন।অ’ভিযোগে বলা হয়েছে, বছর সাতেক আগে ডা. অর্জুন চন্দ্র চৌধুরী,

ধ’র্ম পরিচয় গো’পন করে প্রতারণার মাধ্যমে বাদীর মেয়ে হামিদা খাতুন মৌমিতাকে বিয়ে করেন। বিয়ের সময় অর্জুন চৌধুরী নিজেকে মুসলিম পরিচয় দিয়ে নকল জ’ন্ম সনদ কাজীর দফতরে দাখিল করেন। কয়েক বছর একই পরিচয়ে মৌমিতার স’ঙ্গে ঘর-সংসার করেন। তাদের ছয় বছরের একটি সন্তান রয়েছে।

এর পর চলতি বছরের শুরুতে অর্জুন চৌধুরীর আ’সল পরিচয় জা’নাজানি হলে তিনি স্ত্রী ও সন্তান ফে’লে পালিয়ে যান। অ’ভিযোগ গ্রহণ করে রোববার রাজশাহী নারী ও শি’শু নি’র্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ১-এর বিচারক মো. মনসুর আলম মা’মলাটি তদ’ন্তের জন্য পু’লিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন বা রাজশাহী পিবিআইকে তদ’ন্ত করে,

পরবর্তী ধার্য তারিখে আদালতে প্র’তিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছেন। মা’মলায় ডা. অর্জুন চৌধুরী ছাড়াও তার ভাই নকুল চন্দ্র চৌধুরীকেও আসামি করা হয়েছে। আসামি অর্জুন চন্দ্র চৌধুরী ব্রাক্ষ্রণবাড়িয়া শহরের কাজীপাড়া মহল্লার নির্মল চন্দ্র চৌধুরীর ছেলে। অর্জুন স’ম্প্রতি খুলনার গাজী মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন।

মা’মলার অ’ভিযোগে বলা হয়, ২০১৪ সালে ঢাকা থেকে ট্রেনযোগে রাজশাহী ফেরার সময় হাফিজুর রহমানের দশম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে হামিদা খাতুন মৌমিতার স’ঙ্গে পরিচয় হয়। অর্জুন মৌমিতাকে নিজে’র নাম অভি চৌধুরী বলে জা’নায়। ওই সময় মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা দিতে ট্রেনযোগে রাজশাহী যাচ্ছিলেন অর্জুন।

সেই পরিচয় সূত্রে পরস্পরের মধ্যে যোগাযোগ ঘনিষ্ঠ হয়। পরিচয় থেকে গ’ভীর প্রেমে জড়ান দুই তরুণ-তরুণী। অর্জুন মেডিকেল কলেজে পরীক্ষার পর খুলনার গাজী মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। অ’ভিযোগ মতে, ২০১৯ সালের মাঝামাঝি অর্জুন এমবিবিএস পাস করেন। এর পর থেকেই তিনি মৌমিতা ও তার পরিবারের স’ঙ্গে যোগাযোগ কমিয়ে দেন।

তাদের ছয় বছরের মেয়েটির স’ঙ্গে ও আর যোগাযোগ রাখেননি অর্জুন। মৌমিতা জা’নান, অর্জুন ২০১৯ সালের শেষের দিক থেকে তাদের স’ঙ্গে যোগাযোগ কমিয়ে দিলে বিষয়টি নিয়ে পরিবারে অসন্তোষ তৈরি হয়। এই সময়ে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অর্জুন চন্দ্র চৌধুরী নামে একটি আইডির প্রোফাইলে তার স্বামী অভি চৌধুরীর ছবি দে’খতে পান।

এ সময়ে অর্জুনের ধ’র্মপরিচয় নিয়ে তার সন্দে’হ হয়। মৌমিতার এক ভাই খুলনা গাজী মেডিকেল কলেজে গিয়ে খোঁ’জ নিয়ে নি’শ্চিত হন যে, অভি চৌধুরীর আ’সল নাম অর্জুন চন্দ্র চৌধুরী এবং তিনি মুসলিম নন- সনাতন হিন্দু। এদিকে জ’রুরি বিষয় উল্লেখ করে অর্জুনকে রাজশাহীতে ডেকে পাঠান মৌমিতা। ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি অর্জুন রাজশাহীতে শশুরবাড়িতে যান।

মৌমিতা তার আ’সল পরিচয় প্র’কাশের দা’বি করেন। এ সময়েও অর্জুন নিজেকে মুসলিম ও তার নাম অভি চৌধুরী বলে দা’বি করেন। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তুমুল হট্টগোলের পর মৌমিতা কয়েকবার আত্মহ’ত্যারও চেষ্টা করেন। এর পর থেকে অর্জুন কাউকে কিছু না বলে আত্মগো’পন করেন। এরপর থেকে তার স’ঙ্গে মৌমিতা বা তার পরিবারের কারো স’ঙ্গে যোগাযোগ রাখেননি অর্জুন।

মৌমিতার মা রেহেনা বেগম বলেন, অর্জুন নিজে’র ধ’র্ম পরিচয় গো’পন করে তাদের স’ঙ্গে প্রতারণা ক’রেছেন। এখন তারা সামাজিকভাবে চরম বিড়ম্বনার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। পাশাপাশি তার মেয়ে মৌমিতা ছয় বছরের সন্তানটিকে বুকে আঁকড়ে ধ’রে শুধু কান্নাকাটি করছেন।

এদিকে অর্জুন চৌধুরীর ব্যবহৃত দুটি মোবাইল নম্বর ব’ন্ধ থাকায় তার স’ঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী পিবিআইয়ের পু’লিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ জা’নান, ঘ’টনা শুনে মনে হচ্ছে– এটি একটি পরিকল্পিত প্রতারণা। বিষয়টি খুব স্প’র্শকাতর। মা’মলার নথি তাদের কাছে এখনও আসেনি। নথি হাতে পেলে আদালতের নির্দে’শিত সময়ে প্র’তিবেদন দেয়া হবে বলে নি’শ্চিত করেন তিনি। তথ্য সূত্র- পাবলিক ভ’য়েস