মালয়েশিয়ার দীর্ঘ দিনের প্রধানমন্ত্রী (১৯৮১-২০০৩) ডা: মাহাথির মোহাম্মদ শুধু সে দেশের উন্নয়নের অনন্য রূপকারই নন। তিনি মুসলিম বিশ্বের সেরা রাষ্ট্রনায়কদের একজন। সরকার পরিচালনা থেকে বিদায় নিলেও তিনি স্বদেশে ও বিদেশে লেকচার, লেখালেখি প্রভৃতির মাধ্যমে ব্যস্ত জীবনযাপন করছেন। প্রায় ৯০ বছর বয়সেও মাহাথির মোহাম্মদ সক্রিয় রয়েছেন।
অবশ্যই স্বীকার করতে হবে, আতঙ্কিত আমি নিজেও। কারণ এটা মেটেও ইসলামসম্মত কোনো কাজ নয়। ইসলাম সন্ত্রাস-সহিংসতা সমর্থন করে না। রাসূল সা: যাদের পরাজিত করেছিলেন, তাদের হ’ত্যা করা দূরের কথা, ধর্মান্তরিত করে মুসলমানও বানানো হয়নি। আল কুরআন বলছে, ‘ইসলামে নেই কোনো জবরদস্তি।
ইউরোপের ‘গ্রেট গেম’ সম্প্রতি আমরা দেখলাম, গাজায় ইসরাইল মুসলমানদের গণহত্যার শিকারে পরিণত করেছে; তাদের শহরগুলো ও ঘরবাড়ি করা হয়েছে ধ্বংস। গাজায় দুই হাজারের বেশি মুসলিম নি’হ’ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ছোট্ট শিশু, বৃদ্ধ, বেসামরিক লোকজন সবাই ছিলেন।
হাজার হাজার মানুষ মা’রাত্ম’কভাবে আহত হয়েছেন। অনেকেই হারিয়েছেন হাত-পা। ইউরোপ ও আমেরিকা তাদের প্রতি সহানুভূতি দেখায়নি। উদ্বিগ্ন হয়নি গাজার ঘটনায়। আসলে আরো মুসলমান হ’ত্যা এবং তাদের বসতি ও জনপদ ধ্বংসের জন্য ইসরাইলকে দিয়েছে অর্থ ও অস্ত্র।
ব্রিটিশরা ইসরাইল সৃষ্টি করেছে ব্রিটিশরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, ইউরোপের ইহুদি সমস্যার সুরাহার জন্য ফিলিস্তিনের বুকে ইহুদি রাষ্ট্র গঠন করা হবে। ১৯১৭ সালে (ব্রিটিশ নেতা) বালফোর ওয়াদা করে বসলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের ভূমি ইহুদিবাদীদের দেয়া হবে।
কত সহজেই না এটা করা হলো। ফিলিস্তিনের বাসিন্দা, সংখ্যাগরিষ্ঠ আরবদের কোনো তোয়াক্কাই না করে তাদের ভূমি জোর করে ছিনিয়ে ইহুদিদের দেয়া হয়েছিল। ওরা ইসরাইল প্রতিষ্ঠা করাকে উদযাপন করেছিল আরবদের গণহ’ত্যা আর তাদের ফিলিস্তিন থেকে বের করে দিয়ে। ১৯৪৮ সালে জাতিসঙ্ঘ এসবের দৃশ্যত অনুমোদন দিয়েছে ইসরাইলের স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে।
আরবদের ক্ষোভ ও বিরোধিতা পাত্তা পেল না। তখন থেকে মধ্যপ্রাচ্যে কোনো শান্তি নেই। যতবার ফিলিস্তিনিরা তাদের স্বদেশ ভূমি পুনরুদ্ধার করতে চেয়েছে, ইসরাইলকে ইউরোপ এবং বিশেষত আমেরিকা বিপুল সাহায্য-সহায়তা জুগিয়ে ততবারই এটা ঠেকিয়ে রেখেছে।