কলেজছা’ত্রী মোসারাত জাহান মুুনিয়ার আত্মহ’ত্যা প্র’রোচনা মা’মলা ত’দন্ত করতে গিয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য পাচ্ছে। বিশেষ করে মুনিয়ার জীবনযাপন, নুসতরাতের সঙ্গে মুনিয়ার স’ম্পর্ক এবং মুুনিয়ার অ’তীত নিয়ে যে তথ্যগুলো পাচ্ছে তাতে এটি আর আত্মহ’ত্যা প্র’রোচনা মা’মলা থাকছে না। মা’মলা’টি নাট’কী’য়ভাবে অন্যদিকে মোড় নিচ্ছে।
একাধিক আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সূত্র বলছে, মুনিয়ার মৃ’ত্যুকে যেভাবে অ’পপ্রচার মা’মলা হিসেবে দায়ের করার চেষ্টা করা হয়েছিলো ব্যাপারটা তত সহ’জ সরল নয়। দেখা যাচ্ছে যে, এর পেছনে এক ধরনের ব্লাকমেইলিং রয়েছে এবং অ’তীতেও এই ধরনের বিভিন্ন তৎপরতার সঙ্গে এই দুই বোন জ’ড়িত ছিলো। নাম প্রকাশ না করার শর্তে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার একজন কর্মক’র্তা বলেছেন যে, তারা নুসরাতকে ডেকেছেন এবং তাদের অ’তীত বিষয়গুলো জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। কিন্তু নুসরাত মিডিয়ার মাধ্যমে এই বিষয়গুলো নিয়ে একটি সহানুভূতি আনার চেষ্টা করছেন।
আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা বলছেন আইন নির্মোহ, ত’দন্তে যা সত্য তাই বেরিয়ে আসবে। ত’দন্তে দেখা যাচ্ছে যে, যাকে অ’ভিযু’ক্ত করা হয়েছে আত্মহ’ত্যা প্র’রোচনা মা’মলায় বসুন্ধ’রার এমডি, তিনি নুসরাত এবং মুনিয়ার অনেকদিনের টার্গেট ছিলো। তারা চেয়েছিলো যে বসুন্ধ’রার এমডিকে ব্লাকমেইলিং করে অর্থ আদায় করা। কিন্তু মুনিয়ার যখন আকস্মিক মৃ’ত্যু হয় তখন নুসরাত মনে করে যে, মুনিয়ার আত্মহ’ত্যা মা’মলায় যদি বসুন্ধ’রার এমডিকে ফাঁ’সিয়ে দেয়া যায় তাহলে একবারে বিত্তবান হওয়া যাবে। আর সেই টার্গেট নিয়েই এই মা’মলা’টি করা হয়েছে। কারণ প্রাথমিকভাবে কোনো তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই অ’পমৃ’ত্যুর এই মা’মলা’টি দায়ের করেছেন নুসরাত।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে, অডিও টেপের ওপর ভিত্তি করে বাজারে গুজব ছড়ানো হয়েছে যে, বসুন্ধ’রার এমডি আনভির ওই মে’য়েটিকে হু’মকি দিয়েছিলো। সেই অডিও টেপটি দেড় বছরের পুরোনো। দেড় বছরের একটি পুরোনো টেপ কী’ভাবে সাম্প্রতিক সময়ের আত্মহ’ত্যা প্র’রোচনায় বর্তমান উপযু’ক্ত হতে পারে সেটি একটি বড় বিষয়। এছাড়াও যে ঘটনা সাজানো হয়েছিলো যে একটি বাসায় ইফতারে যাওয়ার কারণে আনভীর তাকে বকেছিলো, সেটিরও কোনো বাস্তব সত্যতা পাওয়া যায়নি।এমনিক বসুন্ধ’রার এমডির অ’তীত নিয়ে যে সমস্ত কথাবার্তা বলা হয়েছিলো, যে বসুন্ধ’রার এমডির মা তাকে হু’মকি দিয়েছে ইত্যাদি এসবেরও বাস্তব প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সূত্রগুলো জানিয়েছে। দেখা যাচ্ছে যে, নুসরাত এবং মুনিয়া অ’তীতে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদেরকে ব্লাকমেইল করেছেন, মুনিয়াকে দিয়ে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলা এবং সেই সখ্যতার পরে ওই ব্যবসায়ীকে ব্লাকমেইল করাই ছিলো নুসরাত-মুনিয়া জুটির প্রধান পেশা।
প্রথমে মুনিয়া ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঘনিষ্ট হতে তার একটা নিস্পাপ চেহারা এবং গ্রামীণ সজিবতায় অনেকেই পটে যেতেন এবং তার সঙ্গে এক ধরনের স’ম্পর্ক করতেন। তারপর নুসরাত সামনে আসতেন এবং ওই ব্যবসায়ীকে ব্লাকমেইল করতেন। মুনিয়া বিভিন্ন ব্যবসায়ীর সঙ্গে চ্যাটিং করতেন ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে, তাদের কল রেকর্ড করতেন এবং অন্যান্য অসতর্ক মুহুর্তগুলো রেকর্ড করে নুসরাতের কাছে দিতেন এবং নুসরাত পরে এটিকে ব্যবহার করতেন।
আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা বলছেন, মুনিয়া যে একাধিক ব্যক্তির কথা রেকর্ড করেছে, এটি বাংলাদেশের টেলিগ্রাফ আইন অনুযায়ি দ’ণ্ডনীয় অ’প’রাধ। কারণ সরকারি প্রতিষ্ঠান ছাড়া একজন ব্যক্তি আরেকজন ব্যক্তির অনুমতি ব্যতিরেকে তার কথোপকথন রেকর্ড করতে পারে না। এটি টেলিফোন-টেলিগ্রাফ অ্যাক্ট অনুযায়ি শা’স্তিযোগ্য অ’প’রাধ। কিন্তু মুনিয়া এবং নুসরাত এই কাজটিই করতেন ও ব্যবসায়ীদের ফাঁদে ফেলে তাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করাই ছিলো তাদের মূল ব্যবসা। কিন্তু বসুন্ধ’রার এমডির ক্ষেত্রে সেটি সফল না হওয়ায় নুসরাতের আক্রোশ বেড়ে যায় এবং মুনিয়ার মৃ’ত্যুর পর এক ধাক্কায় সবকিছু অর্জনের জন্যই এই মা’মলা’টি করেছে বলেই অনেকে মনে করছেন।