আরব দেশগুলোর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বৃহস্পতিবার (১৩ মে) চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। সাদ্রা দরবার শরিফের অনুসারীরা ৯২ বছর ধরেই আরব দেশগুলোর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সাদ্রাসহ ৪০টি গ্রামে ঈদ উদযাপন করে থাকেন। ঈদকে ঘিরে এসব গ্রামে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। এবার আগাম ঈদে জেলার তিনটি উপজেলার ৩৪টি স্থানে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
সাদ্রা ছাড়াও একদিন আগে ঈদ উদযাপন করা গ্রামগুলো হলো– হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল, শ্রীপুর, মণিহার, বড়কুল, অলিপুর, বেলচোঁ, রাজারগাঁও, জাকনি, কালচোঁ, মেনাপুর, ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, পাইকপাড়া, বিঘা, উটতলী, বালিথুবা, শোল্লা, রূপসা, বাসারা, গোয়ালভাওর, কড়ইতলী, নয়ারহাট, মতলবের মহনপুর, এখলাসপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, বেলতলীসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম। এছাড়া চাঁদপুরের পাশের নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ভোলা ও শরীয়তপুর জেলার কয়েকটি স্থানে মাওলানা ইছহাক খানের অনুসারীরা একদিন আগে ঈদ উদযাপন করেন।
সাদ্রার মরহুম পীরের ছেলে জাকারিয়া আল মাদানী বলেন, ‘সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ আল্লামা মোহাম্মদ ইছহাক ইংরেজি ১৯২৮ সাল থেকে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে এখানে ধর্মীয় রীতিনীতি প্রচলন শুরু করেন। তার মৃত্যুর পর থেকে তার ছয় ছেলে এ মতবাদের প্রচার চালিয়ে আসছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিশ্বের যেকোনও স্থানে প্রথম চাঁদ দেখার ভিত্তিতে ঈদ উদযাপন করে থাকি। সৌদি আরবে ঈদ হবে বৃহস্পতিবার। তারপরও যদি এই রাতের যেকোনও সময় আমরা নির্ভরযোগ্য তথ্য পাই যে, বিশ্বের অন্য কোনও দেশে চাঁদ দেখা গেছে তাহলে আমরা বুধবারও ঈদ করতে পারি। না হলে বৃহস্পতিবারই উদযাপিত হবে ঈদ।’
চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী আব্দুর রহীম জানিয়েছেন, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ, হাজীগঞ্জ এবং মতলব উত্তরের বিভিন্ন এলাকায় আগাম ঈদ উদযাপন হয়। এসব এলাকায় ৩৪টি ঈদের স্থানে ঈদের জামাত হবে। এর মধ্যে ফরিদগঞ্জে ১৫টি, হাজীগঞ্জে ১৩টি এবং ছয়টি মতলব উত্তরে।