এবার বিশেষ শর্তে হজের অনুমতি দেবে সৌদি আরব!

করো’না ম’হামা’রির কারণে গত বছর সীমিত আকারে হজ পালন হয়। সেবার হজ পালনে সুযোগ পেয়েছিলেন কেবল সৌদি আরবে বসবাসকারীরা। সৌদি আরব ছাড়া আর কোনো দেশে বাসিন্দাদের হজে যাওয়ার অনুমতি মেলেনি। করো’নার কারণে এ বছরও হজ পালনে বিশেষ কিছু নিয়মে সীমাবদ্ধ থাকবে সৌদি সরকার।

বিশ্বের কয়েকটি দেশে যখন করো’নার দ্বিতীয় ঢেউ আ’ছড়ে প’ড়ছে তখন সং’ক্রম’ণ এ’ড়াতে এ বছর ‘বিশেষ শর্ত’ অনুযায়ী হজ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি আরব সরকার। রোববার দেশটির হজ ও ওমরা বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে ‘বিশেষ শর্ত’ কী সে বিষয়ে বিস্তারিত জানায়নি সৌদি সরকার।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এ বছর কী পদ্ধতিতে এবং কোন কোন শর্ত মেনে হজ পালন করা যাবে সে বিষয়ে পরে জানিয়ে দেওয়া হবে। সৌদি আরবের স্বাস্থ্য ইনিস্টিটিউট পরিস্থিতি মূল্যায়ণ অব্যাহত রাখবে এবং সব মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পদক্ষেপ নেবে।’

গত সপ্তাহে সৌদি কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, ক’রোনা ম’হামা’রির কারণে চলতি বছর বিদেশিদের হজের অনুমতি দেওয়া নাও হতে পারে। যদিও এ বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। গত মার্চে সৌদি আরব সরকার বলেছিল, যারা করো’নাভাই’রাসের টিকা নিয়েছেন কেবল মাত্র তাদের হজ করার অনুমতি দেওয়া হবে।

কিন্তু করো’নার নতুন ধরন শনা’ক্ত হওয়ায় ও টিকার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠায় সেই বক্তব্য থেকে সৌদি সরকার সড়ে দাঁড়াবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে হজ পালনে বেশ কিছু শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছিল সে সময়।

শর্তগুলো হচ্ছে- ১. শুধুমাত্র ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সীরা হজে অংশ নিতে পারবেন। ১৮ বছরের নিচে এবং ৬০ বছরের ওপরে কেউ অংশ নিতে পারবেন না। ২. হজে অংশগ্রহণকারীরা সৌদি আরবে অবতরণের কমপক্ষে ১ সপ্তাহ আগে করো’না টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করতে হবে।

৩. সৌদি আরবে অবতরণের ৭২ ঘণ্টা আগে করা কো’ভিড-১৯ পিসিআর টেস্টের নে’গেটিভ রিপোর্টও সঙ্গে রাখতে হবে। ৪. সৌদি আরবে আসার পর ৭২ ঘণ্টা কো’য়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এখানে আবার পিসিআর টেস্ট হবে এবং নেগেটিভ রিপোর্ট আসার পর কোয়ারেন্টিন সমাপ্ত হবে।

৫. হজের সময় স্বাস্থ্য প্রটোকল প্লান অনুযায়ী হাজী এবং হজের কর্মীরা আলাদা ব্যা’জ পরিধান করবেন এবং পরস্পরের মাঝে অন্তত দেড় মিটার দূরত্ব রাখতে হবে। ধারণা করা হচ্ছে এবারও এমন নিয়ামাবলী মেনে হজ সম্পন্ন করতে হবে হাজিদের। তারসঙ্গে যোগ হতে পারে নতুন কোনো শর্ত।

প্রসঙ্গত, করো’না ম’হামা’রি বিশ্ব’জুড়ে ছড়িয়ে পড়ার আগে প্রতিবছর সারা বিশ্ব থেকে ২৫ লাখের বেশি মানুষ হজ পালন করতে সৌদি আরবের পবিত্র নগরী মক্কা ও মদিনায় যেতেন। এছাড়া, সারা বছরই ওমরাহ পালন করতে গোটা বিশ্ব থেকে হাজার হাজার মুসলমান সৌদি আরবে যান। হজ থেকে সৌদি আরব প্রতিবছর প্রায় ১ হাজার ২শ’ কোটি মার্কিন ডলার আয় করে।