রাজধানীর লালমাটিয়া মহিলা কলেজের ছাত্রী তাহমিনা কথা। পড়াশোনার পাশাপাশি একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে কাজ করতেন তিনি। কিন্তু সেখানে তার প্রতিদিনের রুটিন ওয়ার্ক ভালো না লাগায় ফেরি করে বাদাম বিক্রয়কে নিজের পছন্দের স্বাধীন কাজ হিসাবে বেছে নিয়েছেন। করোনার বন্ধে রাজধানী ধানমন্ডিস্থ রবীন্দ্র সরোবরে ফেরি করে বাদাম বিক্রি করেন তাহমিনা।
জানা গেছে, লালমাটিয়া মহিলা কলেজে ব্যবস্থাপনা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী তাহমিনা। জন্ম মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায়। ঢাকায় থাকেন ধানমন্ডির একটি বাসায়। তার বাবা হাবিবুর রহমান সাটুরিয়া হাসপাতালে চাকরি করেন একই হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন মা আয়েশা হাবিবও। কিন্তু ২০০৮ সালে তার মা মারা যাওয়ার পর পড়াশোনার টানে ঢাকায় চলে আসেন তিনি।
তাহমিনা জানান, ভালো একটা ট্রাভেল এজেন্সিতে জব (চাকরি) করতাম। জব ছেড়ে বাদাম বিক্রির পেশায় নেমেছি। স্বাধীন জীবন আমার অনেক পছন্দ। সব কাজই মহান। কাজ সবসময় কাজই। কাজের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ থাকা উচিত নয়।
কোন পেশায় ছোট না উল্লেখ করে তাহমিনা বলেন, বাদাম বিক্রি ও ট্রাভেল এজেন্সির কাজের মধ্যে আমি কোনো পার্থক্য খুঁজে পাইনি। কারণ দুটি পেশাই আমার কাছে মহান। আর এমন চিন্তা-চেতনাই মানুষকে বদলে দিতে পারে। আমাদের ছোট একটি বাংলাদেশ- এতো বড় বড় জব পাওয়া সম্ভব নয়। তাই সব হতাশা ছেড়ে যে কোনো কাজে মন দেওয়াই উত্তম।
তাহমিনার উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) শেষে মালয়েশিয়ায় উচ্চশিক্ষার জন্য চাপ এসেছিল। এরপরে পুরো পরিবার মালয়েশিয়ায় স্থায়ী হতে চাইলেও বেঁকে বসেন কথা। দেশের মাটিতেই কিছু একটা করার ইচ্ছে তার।
তাহমিনা বলেন, অনেকে পণ করেন যে চিকিৎসক বা ইঞ্জিনিয়ার হতে হবে। এতে করে সবার স্বপ্ন পূরণ হয় না। হ;তা;শা কাজ করে। আবার অনেকে চুরি-ডা;কা;তিসহ খারাপ পথ বেছে নিয়ে থাকেন। কিন্তু যে কোনো কাজে নিজেকে খুশি রাখতে পারাই ব্যক্তিগত অর্জন।