প্রেমের টানে বেয়াইর হাত ধরে ঘর ছাড়লো বেয়াইন

ফটিকছড়ি উপজেলার নারায়ণহাট ইউনিয়নে প্রেমের টানে ইব্রাহীম নামে ৪৪ বছর বয়সী এক ব্যক্তির সাথে পা’লিয়ে গেছে মনোয়ারা বেগম নামে ৪৩ বছর বয়সী এক নারী। তারা সম্প’র্কে বেয়াই-বেয়াইন। গত ২৩ এপ্রিল নারায়ণহাট ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ঘড়াভা’ঙা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, দেড় বছর পূর্বে ওই ইউনিয়নের পশ্চিম চানপুর ঘরাভাঙা এলাকার মন্তু মিয়ার ছেলে মানিকের সাথে একই ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের কা’ট্টস্যে এলাকার ইব্রাহীম প্রকাশ কালু ড্রাইভারের মেয়ে সাথী আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে উভয় পরিবারে স্বা’ভাবিক সম্পর্ক বিদ্যমান।

এরই মাঝে ইব্রাহীমও মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে মাঝেমধ্যে আসা-যাওয়া করতেন। এক সময় দুই কন্যা সন্তানের জনক ইব্রাহীমের সাথে মেয়ের শাশুড়ি মানোয়ারা বেগমের মধ্যে প্রেমের সম্প’র্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে দু’জনের এ সম্প’র্ক গ’ভীর প্রেমে রূপ নেয়।

বিষয়টি উভয় পরিবারে জানা জানি হলে এ পথ পরিহার করার জন্য দু’জনকে নানাভাবে বুঝানোর হয়। কিন্তু প্রেম তো মানে না কোনো বাঁ’ধা। সকল বাঁধা উপে’ক্ষা করে দীর্ঘ এক বছর ধরে চলতে থাকে ইব্রাহীম-মনোয়ারার প্রেম। সর্বশেষ ২২ এপ্রিল রাতে মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে যান ইব্রাহীম। পরদিন সকাল ৭টার দিকে মেয়ের শ্বশুর বাড়ি থেকে চলে আসেন তিনি।

এর ঘন্টা খানেক পর ঠু’নকো অজুহাতে পরিবারে একটি ঝগ’ড়া সৃ’ষ্টি করে স্বামীর সংসার করবে না বলে ঘর থেকে বেরিয়ে যান মনোয়ারা। এরপর থেকে এখনো ঘরে ফিরে যায়নি তিন সন্তানের জননী মনোয়ারা বেগম। পরবর্তীতে তাকে দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর সন্ধান না পেয়ে বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদকে জানানো হয়।

এ বিষয়ে মন্তু মিয়া বলেন, আমার স্ত্রী মনোয়ারার সাথে ছেলের শ্বশুর ইব্রাহীমের দীর্ঘদিন ধরে প্রে’মের সম্প’র্ক চলে আসছিল। এরমধ্যে ২৩ এপ্রিল সকালে নিজে ঝগ’ড়া সৃ’ষ্টি করে ঘর থেকে বেরিয়ে যায় সে। পরবর্তীতে আমরা নিশ্চিত হয়েছি সে পা’লিয়ে গিয়ে বেয়াই ইব্রাহীমকে বিয়ে করেছে। এ ঘটনায় মন্তু মিয়া বাদী হয়ে সোমবার (৩ মে) স্ত্রী মনোয়ারা বেগম ও বেয়াই ইব্রাহীমের বি’রু’দ্ধে চট্টগ্রাম চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মাম’লা দা’য়ের করেছেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইব্রাহীমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, মনোয়ারা পারিবারিক ভাবে বিভিন্ন সম’স্যা’য় ভু’গছিলো। সে প্রায় সময় এ গুলো আমাকে বুঝাতো। ২২ এপ্রিল রাতেও তারা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগ’ড়া হয়েছিল। পরদিন সকালে সে আমার দোকানে এসে মন্তু মিয়ার সাথে আর সং’সার করবে না জানিয়ে আশ্রয় দিতে বলে।

আমি আশ্রয় না দিলে প্রয়োজনে ‘আ”ত্মহ”ত্যা’ করবে বলেও হু’ম’কি দেয় বেয়াইন মনোয়ারা। পা’লিয়ে বিয়ে করার বিষয়ে জানতে চাইলে ইব্রাহীম বলেন, আমি তাকে ভা’গিয়ে আনিনি, সে নিজে আমরা কাছে চলে এসেছে। এদিকে মধ্যবয়সে প্রেমের টানে বেয়াই-বেয়াইনের পা’লিয়ে বিয়ে করা নিয়ে এলাকায় চাঞ্চ’ল্যের সৃষ্টি হয়েছে।