মুস্তাফিজের ৩ উইকেট ও বাটলারের সেঞ্চুরি, দলের সহজ জয়

ইংলিশ ব্যাটসম্যান জস বাটলারের শতক ও বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের দুর্দান্ত বোলিংয়ে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৫৫ রানে হারিয়ে আসরে নিজেদের তৃতীয় জয় তুলে নিয়েছে রাজস্থান রয়্যালস। ৭ ম্যাচ খেলে এটি হায়দরাবাদের ষষ্ঠ পরাজয়। দিল্লীতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২২০ রানের পাহাড় জড়ো করে রাজস্থান।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান আসে জস বাটলারের ব্যাট থেকে, বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে যিনি পূর্ণ করেন শতক। মাত্র ৬৪ বলের মোকাবেলায় ১১টি চার ও ৮টি ছক্কা হাঁকিয়ে ১২৪ রান করেন তিনি। এছাড়া ৩৩ বলে ৪৮ রান করেন অধিনায়ক সাঞ্জু স্যামসন। হায়দরাবাদের পক্ষে একটি করে উইকেট শিকার করেন সন্দ্বীপ শর্মা, রশিদ খান ও বিজয় শঙ্কর।

জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৫৭ রান জড়ো করে ফেলে হায়দরাবাদ। দলকে গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক থ্রু এনে দেন মুস্তাফিজ। সপ্তম ওভারে তিনি সাজঘরে ফেরান বিপজ্জনক হয়ে ওঠা মনিশ পাণ্ডেকে (২০ বলে ৩১ রান), বোল্ড করে। আঁটসাঁট বোলিংয়ের ধারা এই ম্যাচেও অব্যাহত রাখেন মুস্তাফিজ।

ইনিংসের দ্বিতীয় ও নিজের প্রথম ওভারে ৭ রান খরচ করা মুস্তাফিজ নিজের দ্বিতীয় ওভারে একটি উইকেট শিকারের বিনিময়ে খরচ করেন মাত্র ৪ রান। ১৫তম ওভারে আবারও বল হাতে নিয়ে শিকার করেন আরেকটি উইকেট। এই ওভারে তিনি শিকার করেন আফগান সুপারস্টার মোহাম্মদ নবীকে।

আউট হওয়ার আগে মারকুটে ভঙ্গিমায় ব্যাট করছিলেন তিনি। ৪ বলে ১৭ রান করে ৫ম বলে মুস্তাফিজের শিকার হন তিনি, অনুজ রাওয়াতের তালুবন্দী হয়ে। ৩ ওভারে মাত্র ১৩ রানের খরচায় ২ উইকেট শিকার করা মুস্তাফিজ দলের হাতের মুঠোয় এনে দেন মোমেন্টাম। এতে চাপে পড়ে গেলে হায়দরাবাদ আরও উইকেট হারাতে থাকে।

১৭তম ওভারে মরিস একাই শিকার করেন দুটি উইকেট। পরের ওভারে আবারও বল হাতে নেন মুস্তাফিজ। এই ওভারে তিনি শিকার করেন আরেক আফগান সুপারস্টার রশিদ খানকে (২ বলে শূন্য), মরিসের ক্যাচে পরিণত করে। এই ওভারে খরচ করেন ৭ রান।

৪ ওভার বল করে মুস্তাফিজ ৩ উইকেট শিকার করেন মাত্র ২০ রানের খরচায়। সমান সংখ্যক উইকেট শিকার করা মরিস খরচ করেন ২৯ রান। শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে হায়দরাবাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৬৫ রান। রাজস্থান পায় ৫৫ রানের বড় জয়।