মোদির কাছে চিঠি, যেসব তথ্য জানতে চান ২ শতাধিক বিজ্ঞানী!

করো’নাভাই’রাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে মৃ’ত্যুপু’রীতে প’রিণত হয়েছে ভারত। ভে’ঙে পড়েছে এশিয়ার অন্যতম পর’মাণু শক্তিধর এ দেশটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। ঠিক ওই সময় দেশটির প্রথম সারির ২০০ বিজ্ঞানীরা এবার সরাসরি চিঠি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। করো’নাভাই’রাসের প্রথম পর্ব থেকে আইসিএমআরের কাছে টেস্ট সং’ক্রা’ন্ত যে ডেটা এখনও পর্যন্ত সংগৃহীত রয়েছে, তার সম্পূর্ণ তথ্য হাতে পেতে চান বিজ্ঞানীরা।

এই মুহূর্তে দেশে যে কো’ভিড-সংক’ট চলছে, তাতে এর সঙ্গে ভাল ভাবে লড়তে গেলে হাতে থাকা জরুরি বিপুল সংখ্যক viral genome-এর সিকোয়েন্সিংয়ের তথ্য। সঙ্গে চাই এ দেশের মানুষের শরীরে কো’ভিড সং’ক্র’মণ এবং এর টিকাকরণের ক্ষেত্রে শরীরের যে স্বাভাবিক রোগ’প্রতি’রোধী ধর্ম সক্রিয় হয়ে ওঠে তার পুঙ্খানুপুঙ্খ গবেষণালব্ধ ফলাফলও।

ভারতে এক একটি ভৌগোলিক এলাকায় একেক রকমভাবে প্রভাব ফেলছে করো’নাভাই’রাস। কোথায় ভাইরা’সটি কেমন আচ’রণ করছে, তা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করছে সংশ্লিষ্ট জায়গাটির পরিবেশের ওপর। এসব বিষয় মাথায় রেখে বিজ্ঞানীরা চান, large-scale granular epidemiological তথ্যের আদানপ্রদান আরও মসৃণ হোক। অথচ আইসিএমআরে এই সং’ক্রা’ন্ত জমে থাকা তথ্য সরকারি ক্ষেত্রে কাজ করা বিজ্ঞানীরাই ব্যবহার করতে পারেন না।

দীর্ঘ এবং ব্যাখ্যামূলক চিঠিতে ২০০ বিজ্ঞানীর পক্ষে অধ্যাপক পার্থ মজুমদার এবং অধ্যাপক এলএস শশীধরের নাম উল্লেখ রয়েছে। মোদিকে তারা লেখেন, কোভিড মহা’মা’রীর সঙ্গে যু’দ্ধ করার জন্য সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করছেন দেশের বিজ্ঞানীদের যে একটি বড় অংশ, তাদের পক্ষ থেকেই এ আবেদন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তারা লেখেন, গত এক বছর ধরে ভারতীয় বিজ্ঞানীরা কো’ভিডের সঙ্গে লড়াই’য়ে জিততে নানা পদক্ষেপ করছেন। তারা টেস্টিং সেন্টার বাড়ানোর চেষ্টা করছেন, চেষ্টা করছেন নতুন ভেন্টিলেটর ব্যবস্থা গড়ে তুলতে, আনতে সহজলভ্য টেস্টিং পদ্ধতিও। টেস্টিং কিট যাতে এ দেশেই উৎপাদন করা যায়, তারা সেটাও ভেবেছেন।

ভেবেছেন করো’নায় ব্যবহার করার মতো ওষুধপত্র এবং সেরো সার্ভের ব্যবস্থার কথা। এছাড়াও সাধারণ মানুষকে সচেতন ও শিক্ষিত করে তোলা, তাদের ভ্যাকসিন নিতে উদ্দীপ্ত করা, ভ্যাকসিন নিয়ে তাদের মন’স্তা’ত্তিক দ্বিধা দূর করা এবং গুজব এ’ড়িয়ে চলার ব্যাপারে পরামর্শও দিয়ে এসেছেন তারা।

কিন্তু এই কাজের পরিধি বিশাল। সে কথা ভেবে ইন্ডিয়ান সায়েন্টিফিক কমিটি ঠিক করেছে, তারা বিষয়টি নিয়ে আরও ব্যাপক কাজ করবে। ঠিক এই জায়গাতেই তারা তাদের প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা প্রার্থনা করেছেন। তাঁদের দাবি, এই সহায়তা প্রয়োজন কেননা, এই কাজে বিপুল আকারের তথ্য সংগ্রহ করা জরুরি, শুধু সংগ্রহই নয়, তা কাজের সময়ে ব্যবহারও করতে হবে। এক্ষেত্রে মহামারী সংক্রান্ত বিপুল তথ্য হাতের কাছে মজুত থাকা প্রয়োজন।