জান্নাতের জন্য ফাঁ;;সিতে ঝুল;বেন মামুনুল হক!

বিয়ের প্র;লোভ;ন দেখি;য়ে দৈ;হি;ক সম্প;র্ক স্থা;পন এবং আ;ট;ক রাখার অ;ভি;যো;গে হেফাজতে ইসলামের সদ্য বি;লু;প্ত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হকের বি;রু;দ্ধে ধ;;র্ষ;ণ মামলা করে জান্নাত আরা ঝর্ণা বলেছেন, রাষ্ট্রের কাছে সু;;ষ্ঠু বিচার চান তিনি।

শুক্রবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় সকালে এসে নিজে বা;দী হয়ে মামলাটি করেন ঝর্ণা। পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘উনি (মামুনুল হক) আমার সর;লতার সুযোগে আমার সঙ্গে অন্যায় করছে। অনেক দিন যা;বৎ এই প্র;তা;র;ণা চা;লা;ইতেছে। আমি রাষ্ট্রের কাছে সু;;ষ্ঠু বি;চার চাই।’

বাংলাদেশে ধ;;র্ষ;ণের স;র্বোচ্চ সা;জা মৃ;;ত্যুদ;ণ্ড করার দাবিতে গত বছরের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে তু;মুল আ;ন্দোল;নের মুখে যে আইন পাস হয়েছে, সেটি হেফাজত নেতা মামুনুল হকের জন্য তৈরি করেছে ঝুঁ;;কি। আগের আইনে ধ;;;র্ষ;ণের অ;প;রা;ধের ধরন বি;বে;চনায় সর্বোচ্চ সা;;জা যা;বজ্জী;বন অথবা মৃ;;ত্যুদ;ণ্ড থাকলেও,

সং;শো;ধিত আই;নে আদালতে প্রমাণ সাপেক্ষে এখন যেকোনো ধ;;র্ষ;ণের ক্ষেত্রেই সর্বোচ্চ সা;জা মৃ;;ত্যুদ;;ণ্ড যুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী, বিয়ের আ;শ্বাস দিয়ে যৌ;;ন সম্পর্কও ধ;;র্ষ;ণ।মামুনুল হকের বি;রু;দ্ধে জান্নাত আরা ঝর্ণা মা;মলা করেছেন নারী ও শিশু নি;;র্যা;ত;ন দ;ম;ন আই;নের ৯-এর ১ ধারায়।

এই ধারায় বলা আছে, ‘যদি কোনো পুরুষ বিবাহবন্ধন ব্যতীত ১৬ বছরের অধিক বয়সী কোনো নারীর স;হিত তাহার সম্মতি ব্যতিরেকে বা ভী;;তি প্রদর্শন বা প্র;তার;ণামূ;লকভাবে তাহার সম্মতি আদায় করিয়া অথবা ১৬ বছরের কম বয়সী কোনো নারীর স;হি;ত সম্ম;তিসহ বা সম্মতি ব্যতি;রেকে যৌ;;ন স;;ঙ্গ;ম করেন, তাহা হইলে তিনি উক্ত না;রীকে ধ;;র্ষ;ণ ক;রিয়া;;ছেন বলিয়া গণ্য হইবে।’

মামলার এজাহারে ঝর্ণা লেখেন, ‘সে (মামুনুল) আমাকে বিয়ের প্র;লো;ভ;ন দেখিয়ে আমার সাথে শা;রী;রি;ক সম্পর্ক স্থাপন করে। গত দুই বছর যাবৎ আমাকে বিভিন্ন সময় ঢাকা ও ঢাকার পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকায় ঘো;রাঘু;রির নাম করে নিয়ে গিয়ে তার পরিচিত বিভিন্ন হোটেল ও রিসোর্টে রা;ত্রিযা;প;ন ও বিবাহের আশ্বাস দিয়ে তার যৌ;;ন লা;;ল;সা চরি;তার্থ করে। একপর্যায়ে আমি বিবাহের কথা বললে সে আমাকে বিবাহ করব, করছি বলে নানা অজুহাতে কালক্ষেপণ করতে থাকে।’

৩ এপ্রিল হেফাজত নেতা বিয়ের প্র;লো;ভ;;ন দেখিয়েই রয়্যাল রিসোর্টে নিয়ে গিয়ে;ছিলেন বলে মা;ম;;লায় অ;ভি;যোগ করেছেন ঝর্ণা।

মামলা করার পর ঝর্ণা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে উনি (মামুনুল) আমার সঙ্গে অন্যায় করেছেন, প্র;তার;ণা করেছেন। আমি রাষ্ট্রের কাছে বিচার চাই। আমার এইটুকুই বলার, আর কিছুই বলার নেই।’

তিনি বলেন, ‘মামুনুল হক সরলতার সুযোগ নিয়ে আমাকে ধ;;র্ষ;;ণ করেছে। বিভিন্ন অজু;হাতে আমাকে অনেক জায়গায় নিয়ে গেছে, সেখানে রা;ত্রি যা;প;ন করেছে। বিয়ের ব্যাপারে কথা বলার অজুহাতে রয়্যাল রিসোর্টের ৫০১ নম্বর রুমে নিয়ে ধ;;র্ষ;;ণ করেছে। সে আমার সঙ্গে অন্যায় করেছে, প্র;তা;র;ণা করেছে। আমি রাষ্ট্রের কাছে তার বিচার চাই।’

ধ;;র্ষ;;ণ করেন, তাহা হইলে তিনি যা;ব;জ্জী;ব;ন সশ্রম কা;রাদ;;ণ্ডে দ;;ণ্ড;নীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদ;ণ্ডেও দ;ণ্ড;নীয় হইবেন।’

তবে ২০২০ সালের সংশোধিত আইনের ৯(১) ধারায় সশ্রম কা;রা;দ;ণ্ডের পাশাপাশি মৃ;;ত্যুদ;;ণ্ডের শা;;স্তিও যুক্ত হয়েছে। এখনকার আইনটির ৯(১) ধারায় বলা হয়েছে, ‘যদি কোনো পুরুষ কোনো না;রী বা শিশুকে ধ;;র্ষ;ণ করেন, তাহা হইলে তিনি মৃ;;ত্যুদ;ণ্ডে বা যা;বজ্জী;ব;ন সশ্রম কা;রাদ;ণ্ডে দণ্ড;নীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদ;ণ্ডেও দ;ণ্ড;নীয় হইবেন।’

২০০০ সালের আইনটিতে কেবল ধ;;র্ষ;;ণের পর মৃ;;ত্যু ও দলগত ধ;;র্ষ;;ণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শা;;স্তি হিসেবে মৃ;;ত্যুদ;ণ্ডের বিধান ছিল। তবে গত বছর সংশোধন করা আ;ই;নের ৯(১), ৯(২), ৯(৩), ৯ (৪) (ক) ধারার সবগুলোতেই মৃ;;ত্যুদ;ণ্ডের বি;ধান রাখা হয়েছে।

আপিল বিভাগের সাবেক বিচারক বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, ‘আইন সংশোধনের পর আদালতে অভি;যোগ প্রমাণ হলে সে অনুযায়ীই আ;সা;মির সর্বোচ্চ সা;;জা হতে পারে।’

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আইনুন নাহার সিদ্দিকা বলেন, ‘যে ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে, তাতে তো সর্বোচ্চ সা;জা মৃ;;ত্যুদ;ণ্ড বা যা;ব;জ্জী;বনের বি;ধান রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এখন সমস্যা হলো ধ;;র্ষ;ণ মামলা প্রমাণ করা। প্র;লো;ভন দেখিয়ে ধ;;র্ষ;ণের কথা বলা হয়েছে, প্রশ্ন হলো ২৫ থেকে ৩০ বছরের একজন নারীকে প্র;লো;ভ;ন দেখি;য়ে ধ;;র্ষ;ণ কতটা যৌক্তিক। এ অবস্থায় অভি;যো;গটি প্রমাণ করা বড় চ্যা;লেঞ্জ হবে।’

এদিকে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) জায়েদুল আলমবলেন, ‘ধ;;র্ষ;ণের মামলায় মামুনুল হককে গ্রেপ্তা;র দেখিয়ে নারায়ণগঞ্জে এনে জি;জ্ঞাসাবা;দ করা হবে।’

এসপি আরও জানান, সোনারগাঁ থানায় শুক্রবার সকালে মামলা করার পর জান্নাত আরা ঝর্ণাকে তার ছেলে আনোয়ার হোসেনের হেফাজতে দেয়া হয়েছে। তিনি নিজ বাড়িতে ফিরে গেছেন। মামলার পরবর্তী কার্যক্রম আদালতে মাধ্যমে করা হবে। সেখানে ঝর্ণাকে হাজির করা হবে।

মামলা করার পর ঝর্ণাকে সোনারগাঁ থেকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মো. আসাদুজ্জামান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।