এবার মামুনুলের বি;রু;দ্ধে বিয়ের প্র;লোভ;ন দেখিয়ে ধ;;র্ষ;;ণ মামলা করলেন দ্বিতীয় স্ত্রী

হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হকের বি;রু;দ্ধে মা;মলা করেছেন তার কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা। আজ শুক্রবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় মামলাটি করেন তিনি। সোনারগাঁ থানা পুলিশ সূত্র জানায়, নারী ও শিশু নি;;র্যা;ত;ন দ;ম;ন আ;ইনে বিয়ের প্র;লো;ভ;ন দে;খিয়ে ধ;;র্ষ;ণের অভি;যোগে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলার নম্বর ৩০।

মামুনুল হক দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করলেও মামলায় জান্নাত নিজেকে মামুনুল হকের স্ত্রী বলেননি। মামলার এজাহারে তিনি বলেছেন, ‘বিয়ের প্র;লো;ভ;ন ও অস;হায়ত্বের সুযোগ নিয়ে মামুনুল হক আমার সঙ্গে সম্পর্ক করেছেন। কিন্তু বিয়ের কথা বললে মামুনুল করছি, করব বলে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। ২০১৮ সাল থেকে ঘো;রাঘু;রির কথা বলে মামুনুল বি;ভিন্ন হোটেল, রিসোর্টে আমাকে নিয়ে যান।’

মামুনুলের সঙ্গে পরিচয় প্রসঙ্গে জান্নাত বলেন, ‘২০০৫ সালে তার স্বামী মাওলানা শহীদুল ইসলামের মাধ্যমে মামুনুল হকের সঙ্গে পরিচয় হয়। স্বামীর বন্ধু হওয়ায় আমাদের বাড়িতে মামুনুলের অবা;ধ যাতায়াত ছিল। মামুনুলের সঙ্গে পরিচয়ের আগে আমরা সুখে–শান্তিতে বসবাস করছিলাম। আমাদের স্বামী-স্ত্রীর মতানৈক্যের মধ্যে প্রবেশ করে মামুনুল হক শহীদুল ও আমার মধ্যে দূরত্ব তৈরি করতে থাকেন। মামুনুলের কারণে আমাদের দাম্পত্য জীবন চ;র;মভা;বে বিষিয়ে ওঠে। সাংসারিক এই টা;নাপো;ড়ে;নে একপর্যায়ে মামনুলের পরামর্শে বি;বাহবি;চ্ছে;দ হয়।’

অভি;যোগে জান্নাত বলেন, ‘বি;চ্ছে;দের পর তিনি সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পারিবারিকভাবে অসহা;য় হয়ে পড়েন। এ সময় মামুনুল আমাকে খুলনা থেকে ঢাকায় আসার জন্য বলেন। আমি ঢাকায় চলে আসি। মামুনুল আমাকে তার অনুসা;রীদের বাসায় রাখেন। সেখানে নানাভাবে আমাকে প্র;স্তাব দেন। একপর্যায়ে পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে তার প্রলোভ;নে পা দিই। এরপর তিনি উত্তর ধানমন্ডির নর্থ সার্কুলার রোডের একটি বাসায় আমাকে সাবলেট রাখেন। একটি বিউটি পারলারে কাজের ব্যবস্থা করে দেন। ঢাকায় থাকার খরচ মামুনুলই দিচ্ছিলেন।’

জান্নাত আরা ঝর্ণা অভি;যোগে বলেন, ‘৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ের রয়্যাল রিসোর্টে ঘোরাঘুরির কথা বলে মামুনুল হক নিয়ে যান। সেখানে অবস্থানকালে কিছু মানুষ আমাদের আ;টক করে ফেলে। পরে মামুনুল হকের অনুসারীরা রিসোর্টে হা;;ম;লা করে আমাদের নিয়ে যায়। কিন্তু মামুনুল আমাকে নিজের বাসায় ফিরতে না দিয়ে পরিচিত একজনের বাসায় অবৈধভাবে আ;ট;কে রাখেন।

কারও সঙ্গে যোগাযোগও করতে দেননি। পরে কৌ;শলে আমি আমার বড় ছেলেকে আমার দুরবস্থার সব কথা জানাই এবং আমাকে ব;ন্দীদ;শা থেকে উ;দ্ধা;রের জন্য আইনের আ;শ্রয় নিতে বলি। পরে ডিবি পুলিশ আমাকে উ;দ্ধার করলে জানতে পারি, আমার বাবা রাজধানীর কলাবাগান থানায় আমাকে উ;দ্ধারের জন্য একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। পুলিশ আমাকে উ;;দ্ধারের পর বাবার জি;;ম্মায় দেয়। সেখানে আমি আমার পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে পরা;মর্শ করায় অভি;যোগ দায়ের করতে বি;ল;ম্ব হয়।’

জান্নাত আরা ঝর্ণার বাবা ওলিয়ার রহমানকে গত ২৪ এপ্রিল জি;জ্ঞা;সাবাদের জন্য হেফাজতে নেয় ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশ। আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর থেকে তাকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। এরপর ২৬ এপ্রিল মেয়েকে উ;দ্ধারে পুলিশের সহায়তায় চেয়ে কলাবাগান থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তিনি। পরদিন মোহাম্মদপুরের একটি বাসা থেকে ঝর্নাকে উ;দ্ধার করে ডিবি পুলিশ। ঝর্না উদ্ধার হওয়ার তিন দিনের মাথায় এই মামলা করলেন।

উল্লেখ্য, মোদিবি;রো;ধী আ;ন্দোল;নের নামে রাজধানী ঢাকা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হাটহাজারীতে বেপ;রোয়া তা;;ণ্ড;বে;র পর রিসোর্টকাণ্ডে মামুনুল হককে নিয়ে দেশজুড়ে ব্য;পক তো;ল;পা;ড় শুরু হয়। আই;নশৃ;ঙ্খলা বাহিনী তা;;ণ্ড;বের অ;ভিযো;গে একে একে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতাদের গ্রেফতার করতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় মাওলানা মামুনুল হককে গত ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

২০২০ সালে দায়ের হওয়া মোহাম্মদপুর থানার একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সাত দিনের রিমা;ন্ডে নিয়ে জি;জ্ঞাসাবাদ শেষে পল্টন ও মতিঝিল থানার পৃথক দুটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয় তাকে। ওই দুই মামলাতে আবার তাকে মোট সাত দিনের রি;মান্ডে নিয়ে জি;জ্ঞাসাবা;দ করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।