করোনার ওষুধের জন্যে বাংলাদেশের কাছে হাত পাতলো ভারত

মহা;মারি করোনায় ভ;;য়;ব;হ বি;;প;র্যের মুখে ভারত। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সিএনএন-এ প্রকাশিত এক রিপোর্টে ভারতে করোনা পরিস্থিতির ভ;;য়া;ব;হ তথ্য উঠে এসেছে। যাতে বলা হয়েছে, প্রকৃত মৃ;;ত্যুর সংখ্যা নথিভু;ক্তের চেয়ে অনেক বেশি। আর আ;ক্রান্তের সংখ্যাও ৫০ কোটির বেশি হতে পারে।

ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, এমন ভ;;য়ং;ক;র অবস্থার মধ্যে করোনার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ রেমডিসিভিরের জন্য বাংলাদেশ, উজবেকিস্তান, মিসর ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের দা;রস্থ হয়েছে ভারত। ভারতীয় গণমাধ্যম দ্যা কুইন্ট জানিয়েছে, এরই মধ্যে ভারতের করোনায় বি;প;র্য;স্ত দুই প্রদেশ মহারাষ্ট্র এবং ঝা;ড়খন্ড বাংলাদেশ থেকে রেমডিসিভির রপ্তানীতে অনুমতি চেয়েছে। এদিকে ওষুধটির প্রস্তুতকারক মার্কিন সংস্থা গিলিয়াড সায়েন্সেস ভারতকে সাড়ে চার লাখ শিশি রেমডেসিভির সরবরাহ করতে রাজি হয়েছে।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বি;;প;র্য;স্ত ভারতে চিকিৎসায় ব্যবহৃত অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ রেমডিসিভিরের চাহিদা দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু স্থানীয় কোম্পানিগুলো সেই চাহিদা মে;টা;তে পারছে না। ফলে কালোবাজারে কয়েকগুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে এই ওষুধ। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার জানায়, শনিবার (১৮ এপ্রিল) মধ্য প্রদেশে রেমডেসিভির কালোবাজারির দায়ে এক চিকিৎসকসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে দেশটির পুলিশ।

তাদের কাছ থেকে উ;দ্ধার করা হয়েছে চার পিস ওষুধ। টাইমস অব ইন্ডিয়া জনায়, উদ্ধার হওয়া ওষুধগুলো বাংলাদেশে তৈরি। সেগুলো কালোবাজারে প্রতি পিস ২০ হাজার রুপি পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছিল। কালোবাজারিদের কাছ থেকে উ;দ্ধার করা ওষুধগুলোর গায়ে ‘রেমিভির ১০০’ লেখা ছিল, যা রেমডেসিভির ইনজেকশনের একটি ব্র্যান্ড। বাংলাদেশের এসকেএফ ফার্মাসিটিক্যাল এটি উৎপাদন করে।

এদিকে চলমান এই সং;ক;টের কারণে চলতি মাসের শুরুতে ভারত রেমডিসিভির এবং এর কাঁচামাল আমদানির ওপর আ;রোপিত কর মওকুফ করে।
ভারত বর্তমানে বিভিন্ন দেশের কাছ থেকে অক্সিজেন উৎপাদন প্ল্যান্ট, কনসেনট্রেটর ও রেমডিসিভিরের মতো জরুরি ওষুধ সংগ্রহের চেষ্টা করে যাচ্ছে। বিভিন্ন দেশে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী ক্রয় বা সংগ্রহের তালিকা প্রেরণ করা হয়েছে।

এরই প্রেক্ষিতে ভারতে জরুরি ওষুধ ও চিকিৎসা স;রঞ্জাম পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ। প্রথম দফায় ১০ হাজার ইনজেক্টেবল অ্যান্টি-ভাইরাল, ওরাল অ্যান্টি-ভাইরাল, ৩০ হাজার পিপিই কিটস এবং কয়েক হাজার জিংক, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন-সি পাঠানো হবে। বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতে করোনা পরিস্থিতির দ্রুত অব;নতির প্রেক্ষাপটে দেশটির জনগণের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। ভারতকে বাংলাদেশ সরকারের সহা;য়তার মধ্যে থাকছে প্রায় ১০ হাজার অ্যান্টিভাইরাল ইনজেকশন ও মুখে গ্রহণের ওষুধ, ৩০ হাজার পিপিই, কয়েক হাজার জিংক, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় ট্যাবলেট।

ভারতে মানুষের মৃ;;ত্যুতে গ;ভীর দুঃ;খ ও সম;বেদনা প্রকাশ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই সং;ক;টম;য়; সময়ে বাংলাদেশ তার ঘ;নি;ষ্ঠ প্রতিবেশী ভারতের পাশে আছে। ভারতের প্রতি বাংলাদেশ সং;;হ;তি জানাচ্ছে। মানুষের জীবন বাঁচানোর সম্ভাব্য সব উপায়ে সহায়তা দিতে বাংলাদেশ প্রস্তুত রয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ভারতের জনগণের দু;;র্ভো;গ যাতে লা;ঘ;ব হয়, সে জন্য বাংলাদেশের জনগণ প্রার্থনা করছে। প্রয়োজনে ভারতকে আরও সহায়তা দিতে বাংলাদেশ আগ্রহী।