অভিযুক্ত ব্যবসায়ী যেন দেশ ত্যাগ করতে না পারে সেই ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ

রাজধানীর গুলশানের একটি অভিজাত ফ্ল্যাট থেকে ২১ বছর বয়সী এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। কুমিল্লার বাসিন্দা ওই তরুণী রাজধানীর একটি কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।

সোমবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর গুলশান ১ নম্বরের একটি ফ্ল্যাট থেকে তরুণীর লাশটি উদ্ধার করা হয়। গত মার্চ থেকে ওই ফ্ল্যাটে একাকী বসবাস করছিলেন তিনি।দেশের একজন শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিলো বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। এ ঘটনায় সোমবার দিবাগত রাতে গুলশান

থানায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভিরের নামে একটি মামলা দায়ের করেছেন নিহতের বড়বোন।মামলার বিবরণে তিনি উল্লেখ করেন, সায়েম সোবহান তার বোনকে আত্মহত্যা করতে প্ররোচিত করেছেন। গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল হাসান মামলাটির তদন্ত করছেন।

পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী জানান, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। পুলিশ নিহতের ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলো সংগ্রহ করেছে। এছাড়া ভবনের সিসিটিভি ফুটেজও নেওয়া হয়েছে।

নাম না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওই তরুণী এক “ব্যবসায়ীর” “প্রেমিকা” ছিলেন।তিনি আরও বলেন, গুলশানের এই ফ্ল্যাটটির ভাড়া মাসে ১ লাখ টাকা। এছাড়া আলাদা ১১ হাজার টাকা সার্ভিস চার্জ দেওয়া লাগে। তবে ওই ছাত্রী কোনো উপার্জন করতেন না। ফ্ল্যাটে ওই ব্যবসায়ী প্রায়ই যাতায়াত করতেন।

এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ওই তরুণী রবিবার তার বড় বোনকে ফোন করে বলেন, তিনি ঝামেলায় পড়েছেন। এ কথা শুনে তার বড় বোন সোমবার ঢাকায় আসেন। সন্ধ্যার দিকে ওই ফ্ল্যাটে যান তিনি। দরজায় ধাক্কাধাক্কি করলেও বোন দরজা খুলছিলেন না।

এরও কিছুক্ষণ আগে থেকে বোনের ফোন বন্ধ পাচ্ছিলেন। পরে বাইরে থেকে “লক” খুলে ঘরে ঢুকে বোনকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখেন। পরে তিনি বাড়িওয়ালাকে বিষয়টি জানান। তখন পুলিশে খবর দেওয়া হয়।তিনি বলেন, অভিযুক্ত ব্যবসায়ী যেন প্রাইভেট জেটের মাধ্যমে দেশ ত্যাগ না করতে পারে সেজন্য পুলিশ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।