জ’ন্মের পর ঠাঁই হল ফুটপাতে, ফোন পেয়ে হাসপাতালে নিল পু’লিশ

ঘড়ির কাঁ’টায় রাত ১টা বেজে ২০ মিনিট। বাসার নিচে হ’ইচ’ই শুনে বের হন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিভাগের কর্মকর্তা আল আমিন। কাছে যেতেই দেখেন ফুটপাতে পড়ে আছে সদ্য জ’ন্ম নেয়া ফুটফুটে এক ন’বজাতক। এরপর আর কিছু না ভেবেই ফোন দেন জরুরি সেবা ৯৯৯-এ।

ফোন পেয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই হাজির হয় পু’লিশ।ন’বজাতকটিকে নিয়ে যায় হাসপাতালে।শনিবার রাতে চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার থানার দামপাড়া এলাকার প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সামনে এ ঘ’টনা ঘটে। আল আমিন বলেন, ফুটপাতে বাচ্চাটিকে দেখে ৯৯৯-এ ফোন দেই।

ফোন পেয়ে খুব দ্রু’ত ঘ’টনাস্থলে উপস্থিত হন চকবাজার থানার ওসিসহ অন্যান্য পু’লিশ সদস্যরা। তারা বাচ্চাটিকে উ’দ্ধা’র করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতাল পর্যন্ত আমিও তাদের স’ঙ্গে ছিলাম।

জানতে চাইলে চকবাজার থানার ওসি মো. আলমগীর বলেন, কমিশনারের নেতৃত্বে মানবিক পু’লিশিং করে যাচ্ছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পু’লিশ। এরই ধারাবাহিকতায় ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে কন্যা শি’শুটিকে উ’দ্ধা’র করে হাসপাতালে ভর্তি করি। তার অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। প্রয়োজনীয় ও’ষুধপত্র ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে।

পরবর্তী পদক্ষেপের বি’ষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, শি’শুটি আগে পুরোপুরি সুস্থ হোক। এরপর আ’দালতের অনুমতি নিয়ে কারা তার মা-বাবা এবং কীভাবে সে ফুটপাতে এলো তা তদ’ন্ত করে বের করা হবে।

এর আগে, ২০১৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে নগরীর কর্নেলহাট এলাকার ডাস্টবিন থেকে এক ন’বজাতককে ‘উ’দ্ধা’র করে হাসপাতালে ভর্তি করেন আকবরশাহ থানার তৎকালীন ওসি মো. আলমগীর। একুশের প্রথম প্রহরের কিছুক্ষণ আগে উ’দ্ধা’র করায় শি’শুটির নাম রাখা হয় ‘একুশ’।

দীর্ঘ তিন মাস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর সুস্থ হয়ে ওঠে শি’শুটি। পরে তাকে পেতে আ’দাল’তে আবেদন করেন ১৬ জন। এর মধ্যে ১২ জন আবেদনকারীর উপস্থিতিতে যাচাই-বাছাই ও শুনানি শেষে শর্ত সাপেক্ষে ‘একুশ’কে শাকিলা-জাকের দম্প’তির জি’ম্মা’য় দেয়ার নির্দেশ দেয় আ’দালত। একই বছরের ৬ এপ্রিল আ’দালতে শি’শুটিকে শাকিলার কোলে তুলে দেন চমেক হাসপাতালের ন’বজাতক ওয়ার্ডের সহকারী রেজিস্ট্রার দেবাশীষ কুমার রায়। এ সময় শাকিলার স্বা’মী চিকিৎসক জাকের ইসলাম পাশে ছিলেন।