মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের লা;;শ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাই’রাল

তিনি অ’সুর বিনাশী দুর্গা নন। এরপরও তার পায়ের নিচে সন্তানের লা;;শ। সন্তানকে হা;রি;য়ে শো;কে পা;থ;র বনে যাওয়া মায়ের এই ছবি ছড়িয়ে পড়েছে ভা’রতের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এই একটি ছবি পুরো ভা’রতের করো’না সংক্রমণের ভ;য়া;ব;হতার আং;শি;ক চিত্র তুলে ধরেছে।

সম্প্রতি ভা’রতের উত্তর প্রদেশের বারনাসী শহরের ব্যস্ত সড়ক থেকে ছবিটি তোলা হয়েছে। ক্লা;;ন্ত-বি;’ধ্ব;স্ত চন্দ্রকলা সিং বসে আছেন একটি ইলেকট্রিক রিকশায়। আর তার পায়ের নিচে পড়ে আছে ২৯ বছরের ছে’লে বিনিত সিংয়ের লা;;শ।বিবিসি জানিয়েছে, সোমবার সকালে চন্দ্রকলা সিং তার অ’সুস্থ ছে’লেকে নিয়ে গিয়েছিলেন বেনারস হিন্দু ইউনিভা’র্সিটি হাসপাতা’লে।

বিনিতের চাচা জয় সিং বিবিসি হিন্দিকে বলেন, তার ভাইপোর কি;ড;নির স;মস্যা ছিল এবং বেশ কয়েকবার তাকে বেনারস হিন্দু ইউনিভা’র্সিটি হাসপাতা’লে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সোমবার ডাক্তার দেখানোর জন্য এক সপ্তাহ আগে তার নাম লেখানো হয়েছিল। কিন্তু যখন মা ও ছে’লে হাসপাতা’লে গিয়ে পৌঁছালো তখন তাদের জানানো হলো ডাক্তার সেখানে নেই।

তাদেরকে ট্রমা সেন্টারে যাওয়ার পরাম’র্শ দিয়ে বলা হয়, সেখানে জরুরি বিভাগে রোগী ভর্তি নেওয়া হয়। কিন্তু ট্রমা সেন্টারের প্রবেশমুখে জ্ঞা;ন হা;রি;য়ে পড়ে যায় বিনিত। হাসপাতা’লের কর্মীরা জানায়, বিনিতের করো’না হয়েছে এবং তাকে ভর্তি নেওয়া যাবে না।

চন্দ্রকলা সিং বলেন, ‘ওরা বললো এর করো’না হয়েছে। তাকে এখান থেকে নিয়ে যান। আমা’র সন্তান, আমা’র বাছা শ্বা’স নিতে পারছিল না। আম’রা অক্সিজেন আর অ্যাম্বুলেন্স ভিক্ষা চাইলাম। কিন্তু কিছুই পেলাম না।’এরপর চন্দ্রকলা সিং তার ছে’লেকে একটি ইলেকট্রনিক রিকশায় করে পাশের বেসরকারি হাসপাতা’লে নিয়ে যান। কিন্তু তারাও ফিরিয়ে দেয়। তৃতীয় হাসপাতা’লে যাওয়ার পথে মা;;রা যায় বিনিত। তার মৃ;;তদে;হ পড়েছিল মায়ের পায়ের তলায়।

রিকশাতেই শো;কে স্ত;;ব্ধ হয়ে বসেছিলেন চন্দ্রকলা। ছে’লের মৃ;;ত্যুতে যখন তিনি বি;প;র্য;স্ত তখন তার কাছ থেকে চু’রি হয়ে যায় বিনিতের মেডিকেল রেকর্ড ও ফোন।ছবিটি প্রথম প্রকাশ হয় স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দৈনিক জাগরনে। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বদৌলতে ছড়িয়ে পড়ে সারা ভা’রতে।