হঠাৎ বেড়েছে সোনার দাম, ভরিতে যত টাকা বৃদ্ধি পেলো

মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশে দেশে চলমান লকডাউন পরিস্থিতির মধ্যেও বিশ্ববাজারে বেড়েছে স্বর্ণের দাম। গেল সপ্তাহে বিশ্ববাজারে সর্বোচ্চ দামে উঠে এসেছে দামি এই ধাতুটি। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশের বাজারেও দাম বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস)।এদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের পাশাপাশি

রুপার দামেও বড় উত্থান হয়েছে। বেড়েছে আর এক দামি ধাতু প্লাটিনামের দামও। স্বর্ণের দাম গত এক সপ্তাহে বেড়েছে ১ দশমিক ৯১ শতাংশ। রুপার দাম বেড়েছে ২ দশমিক ৮৪ শতাংশ। আর প্লাটিনামের দাম বেড়েছে দশমিক ৩৮ শতাংশ।এ ব্যাপারে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, বিশ্ববাজারে স্বর্ণের

এই দাম বাড়ার ধারা অব্যাহত থাকলে দেশের বাজারেও স্বর্ণের দাম বাড়ানো হবে।তিনি বলেন, ‘আমরা সবসময় বিশ্ববাজারের সঙ্গে আপডেট থেকেছি। বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বাড়া বা কমার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দেশের বাজারে দাম সমন্বয় করা হয়েছে। বিশ্ববাজারে দাম কমায় মার্চ মাসে দেশের বাজারে দু’দফা স্বর্ণের দাম কমিয়েছি। তবে এখন বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এই দাম বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকলে বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে দেশের বাজারেও স্বর্ণের দাম বাড়ানো হবে।’

মহামরি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় এখন দেশব্যাপী সরকারের কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। এ কারণে এখন জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ আছে। সরকার বিধিনিষেধ উঠিয়ে নিলে তারপর স্বর্ণের দাম সমন্বয় করার পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান তিনি।তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে স্বর্ণের দামে বড় পতন হয়। ফেব্রুয়ারিতে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম ৫

দশমিক ৯৪ শতাংশ কমে। ফেব্রুয়ারির পতনের ধারা মার্চ মাসের শুরুতেও দেখা যায়। মার্চের প্রথম সপ্তাহে বিশ্বজারে স্বর্ণের দাম কমে ১ দশমিক ৮৮ শতাংশ। এই টানা পতনে স্বর্ণের দাম ৯ মাসের মধ্যে সর্বনি¤œ পর্যায়ে চলে যায়।বিশ্ববাজারে বড় পতন হওয়ায় মার্চ মাসে দু’দফায় দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমিয়েছে বাজুস। সর্বশেষ গত ১০ মার্চ ভরিতে স্বর্ণের দাম ২০৪১ টাকা কমায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের এই সংগঠন। গত ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত বাজুসের কার্যনির্বাহী কমিটির

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১০ মার্চ থেকে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের প্রতিভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৪১ টাকা কমিয়ে ৬৯ হাজার ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ২১ ক্যারেটের স্বর্ণ ৬৫ হাজার ৯৬০ টাকা, ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ ৫৭ হাজার ২১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতিভরি স্বর্ণ ৪৬ হাজার ৮৯০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি ভরিতে স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৯৮৩ টাকা কমানো হয়। সে হিসাবে চলতি বছরে তিন ধাপে দেশের বাজারে ভরিতে স্বর্ণের দাম ৫ হাজার ৫৪০ টাকা কমেছে।স্বর্ণের দাম কমলেও রুপার পূর্বনির্ধারিত দাম বহাল রয়েছে। ক্যাটাগরি অনুযায়ী ২২ ক্যারেটের প্রতিভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫১৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের রুপার দাম ১ হাজার ৪৩৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ১ হাজার ২২৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রূপার দাম ৯৩৩ টাকা।