‘মানুষ খাবে কী’, লকডাউন ভু’য়া’ বলা সেই পথশি’শুর করুণ অবস্থা

একটি অনলাইন নিউজপোর্টালের একজন সাংবাদিক লাইভ করছিলেন। লাইভের শেষমুহূর্তে এক পথশি’শু সেখানে চলে আসে। লাইভেই তাকে বলতে শোনা যায়, ‘যে লকডাউন দিয়েছে, সামনে ঈদ, মানুষ খাবে কী’’? লকডাউন দিয়েছে এটা ভু’য়া।’ এ ঘটনার পর কে বা কারা ওই পথশি’শুকে মা’রধর করেছে বলে অ’ভিযোগ উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই ভিডিও ও শি’শুটিকে মা’রধরের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে।

তবে তাকে কবে কারা মে’রেছে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যায়, মা’রধরের ফলে শি’শুটির চোখ-মুখ ফু’লে গেছে। এ ঘটনার পর ওই শি’শুটিকে খুঁজে বের করেছেন পারভেজ হাসান নামে একজন স্বেচ্ছাসেবী। তার একটি ছবি ফেসবুকে শেয়ার করে স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।

পারভেজ লিখেছেন, ‘একজন পথশি’শু ছে’লেটি। শিক্ষিত রাষ্ট্রের শিক্ষিত ব্যক্তিদের মতো আচরণ এখনো শেখেনি। তাই হয়তো সাংবাদিক যখন লাইভ করে, তখন মজার ছলে সামনে ঈদ ল’কডা’উন দিলে গরীব মানুষ খাবে কী’’? এই ল’কডা’উন ভু’য়া। এটুকুই বলেছে। পরিণামে অনেকেই অনলাইনে প্রশংসা করলেও কে-বা কারা তাকে মে’রে’ছে, চোখমুখ ফু’লিয়ে দিয়েছে। আমা’র প্রশ্ন হচ্ছে ছে’লেটি কি একবারও কথাটা মিথ্যা বলেছে?’

তিনি লেখেন, ‘ও দারিদ্র্য, ক্ষু’ধা কী’’ ওর থেকে ভালো কেও জানে না। তাই মনের ভেতর যে সত্যটা আসছে তাই মুখে বলে দিয়েছে। তার জন্য গায়ে হাত তুলতে হবে? ছে’লেটিকে আমি খুঁজছি। কেউ যদি তাকে খুঁজে পাবার একটু ক্লু দিতে পারেন উপকার হয়। তার পড়াশোনা থেকে যাবতীয় দায়িত্ব নেওয়ার ইতিমধ্যেই প্রস্তাব এসেছে। খুঁজে পেলে ইনশাআল্লাহ ওর সাথে এবার ভালো কিছুই হবে আশাবাদী।’

পরে অবশ্য ওই শি’শুকে খুঁজেও পেয়েছেন। তার সঙ্গে আরেকটি ছবি তুলে দ্বিতীয় পোস্টে পারভেজ হাসান লিখেছেন, ‘আলহাম’দুলিল্লাহ অসম্ভব পরিশ্রম করে ওকে খুঁজে বের করলাম।’ এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবেন বলে পোস্টে তিনি উল্লেখ করেছেন। এদিকে ওই শি’শুর ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন আরও অনেকে। মিনহাজুল ই’স’লা’ম ভূঁইয়া নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক ছাত্রনেতা লিখেছেন, ‘ক্ষমতার দম্ভ তাদের এতই অন্ধ করে ফেলছে যে, এতটুকু একটা পথশি’শু বাচ্চার সমালোচনা সহ্য করার মানসিক শক্তিও তারা হারিয়ে ফেলেছে। এই বাচ্চা ছে’লেটার গায়ে হাত তুলতে তাদের বিবেক এতটুকু কাঁপলো না!’

তিনি লেখেন, ‘সে তো অযৌক্তিক কিছু বলেনি। অন্য অনেকেই যা বলতে চেয়েও বলেনি, সে স্বাচ্ছন্দ্যে তা বলে দিয়েছে। এটা কি খুব বেশী অ’প’রা’ধের কাজ হয়ে গেল ? দুঃখজনক। তবে সবকিছুরই যে একটা শেষ আছে,এটা মনে হয় তারা ভুলে গেছে। সময় নিশ্চয়ই এর উপযু’ক্ত জবাব দেবে।’